মোবায়েদুর রহমান
আজ আমি কোন সুনির্দিষ্ট টপিক, অর্থাৎ একটি মাত্র বিষয়বস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। কারণ বাংলাদেশে কিছু ঘটনা ঘটে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। একটার পর একটা। এই কারণে মাঝে মাঝে পাঠকদের সুবিধার জন্য সব টপিকই একটু একটু টাচ্ করতে হয়। এখন যে বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি হৈচৈ হচ্ছে সেটি হলোÑ একের পর এক হত্যাকা-। কেউ কেউ বলছেন, এগুলো হলো টার্গেটেড কিলিং। টার্গেটেড কিলিং কিনা জানি না। তবে গত ১১ জুন শনিবার কোন কোন পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, এ পর্যন্ত হত্যাকা-ের প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে ৪৬ বার। এই ৪৬ বারে নিহত হয়েছেন ৪৮ ব্যক্তি। পত্র-পত্রিকার রিপোর্টগুলোতেই বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এদের মধ্যে ইউরোপীয় যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন জাপানি। রয়েছেন ব্লগার, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিয়া, মসজিদের মোয়াজ্জিন প্রমুখ। সবগুলো হত্যাকা-ই অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব হত্যাকারী কে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে, চার্জশীট দিয়ে বিচার করতে হবে। সেই বিচারে আইন মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। এ ব্যাপারে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিয়া, সুন্নী এবং দেশি-বিদেশির মধ্যে কোন পার্থক্য করা চলবে না। হত্যাকা-ের গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে ইংরেজীতে যেটিকে বলে উরংপৎরসরহধঃরড়হ, সেই বৈষম্য করা চলবে না।
বাস্তবে দেখছি, এক্ষেত্রেও বৈষম্য করা হচ্ছে এবং গুরুতর বৈষম্য করা হচ্ছে। প্রথম কথা হলো, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বিদেশিরা দূর থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু তারা এর ভেতরে সরাসরি নাক গলাতে পারেন না। যদি কোনো একটি ঘটনার ব্যাপারে কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের কোনো বক্তব্য থেকেও থাকে তাহলে সে ব্যাপারে তিনি বা তারা কূটনৈতিক চ্যানেলে বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মন্তব্য বা পর্যবেক্ষণ পাঠাতে পারেন। প্রকাশ্যে সেগুলো করা কূটনৈতিক নর্মসের বাইরে পড়ে।
কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছেন, ভারত এসব হত্যাকা-ের কোনো কোনোটিতে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে ডিসক্রিমিনেশন করছে। পাবনার হেমায়েতপুরে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত ১০ জুন শুক্রবার আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের উত্তর পাশে প্রধান গেটে রাস্তার ওপর তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সরকার ঘোষিত জঙ্গি দমনে দেশজুড়ে ‘সাঁড়াশি অভিযান’ পরিচালনার প্রথম দিনের সকালেই এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। ঝিনাইদহে হিন্দু পুরোহিত হত্যার এক সপ্তাহ পার না হতেই পার্শ¦বর্তী জেলা পাবনায় আরেকটি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটলো। ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
নিত্যরঞ্জন পান্ডেকে হত্যার ঘটনায় রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অভিজিৎ চট্টপাধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গত শুক্রবার দুপুরে তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গের আশ্রমে যান। তিনি আশ্রম কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ সময় আশ্রমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষণ, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য’ পরিষদ পাবনার সভাপতি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক বিনয় জ্যোতি কুন্ডু, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
॥দুই॥
মন্দিরের একজন সেবাইতের হত্যার পর অকুস্থলে ভারতীয় কূটনীতিকের গমন এবং নিহতের পরিবারকে সান্ত¦না দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে গত সপ্তাহে যখন ঝিনাইদহে হিন্দু পুরোহিত নিহত হন তখন সেখানে যান ভারতীয় হাই কমিশনার। এছাড়া ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী হত্যার ঘটনায় ভারতীয় হাই কমিশনের দুই কূটনীতিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত বুধবার বেলা ১১টার সময় ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) রাজেশ উকাইয়া ও কনসুলার রমা কান্ত গুপ্ত আনন্দ গোপালের শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানান। এ সময় ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান’ ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়ন্ত সেন দিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটাজি, ঝিনাইদহ ‘হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য’ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবির কুমার সমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩০ মে ঝালকাঠিতে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ দেখতে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় এমপির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল। ভারতের রাজ্যসভার এমপি রাম দাস আতাউল এবং বিজেপির ন্যাশনাল সেক্রেটারি সুরেশ পূজারীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল ঝালকাঠি সফর করেছেন।
ভারতীয় দূতাবাসের কূটনীতিকদের এই তৎপরতাকে আমরা শতকরা ১০০ ভাগ অভিনন্দন জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারছি না। শতকরা ৫০ ভাগের মধ্যেই অভিনন্দন সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে। কারণ, সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যায় শুধুমাত্র হিন্দু ভাইয়েরাই তো মারা যাননি। খ্রিস্টান ভাই, জাপানি ভাই, ইটালীয়ান ভাই, শিয়া মুসলমান ভাই সহ সব ধর্মের মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের সকলের পরিবারের কাছে গিয়ে ভারতীয় হাই কমিশনের অফিসাররা যদি সমবেদনা জানাতেন তাহলে তাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি শতকরা ১০০ ভাগ ফুটে উঠতো এবং জনগণও শতকরা ১০০ ভাগ অভিনন্দন জানাতেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে হত্যাকা- বা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা শুধুমাত্র সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্র্তারা। শুধু তাই নয়, হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের খবর পেয়ে বাংলাদেশে ছুটে আসছেন ভারত থেকে তাদের পার্লামেন্ট সদস্য। একটু আগেই আমরা উল্লেখ করেছি যে, ঝালকাঠিতে সংখ্যালঘু নির্যাতন দেখতে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় এমপির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল।
॥তিন॥
আমরা জানি না, ভারত এই ভুলটি কেন করছে। ৬৯ বছর হলো ভারত স্বাধীন হয়েছে। যারা ভারত স্বাধীন করেছেন তাদের সমস্ত নেতা এবং কর্মী ছিলেন পলিটিশিয়ান এবং রাজনৈতিক কর্মী। বিগত ৬৯ বছর ধরে ভারতের কেন্দ্র শাসন করছেন পলিটিশিয়ানরা। তেমনি ২৯টি প্রদেশও শাসন করছেন পলিটিক্যাল লিডার এবং রাজনৈতিক দলসমূহ। ৬৯ বছরের মধ্যে একবারও সেখানে সামরিক শাসন আসেনি অথবা পলিটিশিয়ানদের বাদ দিয়ে আমলা তন্ত্রের শাসন আসেনি। অন্য কথায়, জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা দলই কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলো শাসন করছেন। খেয়াল করে দেখুন, প্রায় দুই দশক আগে লোকসভায় বিজেপির আসন ছিল মাত্র ২ অথবা ৩টি। আজ তারা লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। আমাকে কেউ যাতে ভুল না বোঝেন সেজন্য বলে রাখা দরকার যে, বিজেপির অনেক নীতিই আমি সমর্থন করি না। কিন্তু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বিস্তারকে সমর্থন জানাতেই হবে। এসব কথা এ কারণেই বলছি যে, জনগণের মধ্য থেকে যেসব দল উঠে আসে তারা জনগণের নাড়ির খবর রাখে। তাই তারা ভুল করে না।
বাংলাদেশে তারা ভুল করছে। শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তারা সহানুভূতি দেখাচ্ছে কেন? ভারত তো দাবি করে যে তারা একটি সেক্যুলার দেশ। সেক্যুলারিজম কি একটি মাত্র ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে পারে? দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো এই যে, বাংলাদেশে তারা তাই করছে।
ভারতীয় দূতাবাস তো এখানে আছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য। ঘাতকদের হাতে যেমন হিন্দু পুরোহিত নিহত হয়েছেন, তেমনি মুসলমান মোয়াজ্জিনও নিহত হয়েছেন। তেমনি খ্রিস্টান পাদ্রিও নিহত হয়েছেন। ভারতীয় হাই কমিশনের কূটনীতিকরা শুধুমাত্র দুইজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ব্যক্তির হত্যাকা-ে ছুটে যাচ্ছেন কেন? মুসলমান এবং খ্রিস্টানদের ক্ষেত্রেও ছুটে গেলেন না কেন? আরও প্রশ্ন উঠেছে, নিহত হয়েছেন মোট ৪৮ জন (পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক) অথচ তারা শুধু দুজনের জন্য সমবেদনা জানাতে গিয়েছেন। বাংলাদেশে যারা একমাত্র মানব ধর্ম ছাড়া আর কোন ধর্মই বুঝতে চান না, তাদের কাছে প্রশ্ন, অবশিষ্ট ৪৬ জন কি মানুষ নন? তাদের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের তো বটেই, আপনাদেরও মানবতাবোধ জাগ্রত হয় না কেন?
॥তিন॥
বাংলাদেশের দুই বিশিষ্ট হিন্দু নাগরিক রানা দাসগুপ্ত এবং পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে, তাদের ভাষায়, হিন্দু নির্যাতনের জন্য ভারত সরকারকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লক্ষ। এই পীযূষ এবং রানা দাসগুপ্ত কি ১ কোটি ৪৪ লক্ষ হিন্দুর প্রতিনিধিত্ব করেন? অবশ্যই করেন না। ফেসবুকে দেখছি, অনেক হিন্দু ভাই স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যেখানে তারা বলছেন যে, রানা ও পীযূষের বক্তব্য তাদের অর্থাৎ হিন্দুদের নয়।
বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়। কিন্তু বিজেপির বর্তমান সরকারের কোন কোন মন্ত্রী এবং তাদের নির্দেশে পরিচালিত ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকা- বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। গত ১০ জুন শুক্রবার পত্র- পত্রিকায় আরেকটি খবর এসেছে যেটি পড়ে এবং টেলিভিশনে দেখে-শুনে জনগণের আক্কেল গুড়–ম হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অর্থাৎ হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার এই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার ১৬টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে সংখ্যালঘুদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা ও নাগরিকত্ব অনুমোদনের আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘ইকোনমিক টাইমসের’ খবরে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়ার এই উদ্যোগ ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির নীতিরই প্রতিফলন। ইহুদিদের জন্য ইসরাইল যেমন, অনেকটা তেমনভাবেই বিশ্বের যেকোনো দেশের নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য ভারতকে আশ্রয়স্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় বিজেপি।
হিন্দু শরণার্থীদের আগামী ১৫ই আগস্টের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা ও নাগরিকত্ব প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৩ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ ক্যাম্প আয়োজনের নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। শরণার্থীরা যেসব সমস্যার মোকাবিলা করে থাকে সেগুলো উঠে আসবে এসব ক্যাম্পে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ভারতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় মুসলমানরাও বাস করেন। ভারতে মুসলমানদের অনুপাত ১৭.৮২ শতাংশ। প্রদেশ ওয়ারীভাবে মুসলমানদের অনুপাত আসামে ৩০.৯ শতাংশ, পশ্চিম বঙ্গে ২৫.২ শতাংশ, কেরালায় ২৪.৭ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ১৮.৫ শতাংশ এবং বিহারে ১৬.৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে হিন্দুরা নির্যাতিত হলে ভারত তাদের নাগরিকত্ব দেবে এবং ভারতে জায়গা দেবে। কিন্তু বাংলাদেশে তো হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলমানরাও গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন। তাদের বেলায় ভারত কি করবে? হিন্দুদের মতো মুসলমানদেরকেও কি নাগরিকত্ব দেবে? তাহলে ওপরের ইস্যুগুলো ভারতকে এড্রেস করতে হবে। ভারত বিশ্বব্যাপী নিজের গণতান্ত্রিক এবং সেক্যুলার ইমেজকে সব সময়ই হাইলাইট করে। সেই ইমেজটি ঠিক রাখতে হলে বাংলাদেশেও তাদেরকে সমদর্শী হতে হবে।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন