পার্বত্যাঞ্চলের বাঁশ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ শিল্প দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা তথা উপজেলায় ব্যাপক চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে বিক্রির পরিকল্পনা করেছে বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। পার্বত্যঞ্চলের পাহাড়ে উৎপাদিত মুলি বাঁশ, বাড়িয়াল বাঁশের চাহিদা ব্যাপক। প্রতিবছর রাঙামাটি জেলার মাইনী, বরকল, হরিণা, কাঁচালং, মাচালংসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে বাঁশ ব্যসায়ীরা বাঁশ সংগ্রহ করে পাঁচ বছর পূর্বে কর্তফুলী পেপার মিলস্ তথা কেপিএম কে সরবরাহ করে দিত।
প্রায় ৩ বছর ধরে কেপিএম বিকল হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদের বাঁশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা কেপিএমকে বাঁশ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে কেপিএমকে বাঁশ সরবরাহ করতাম ২/৩ বছর কেপিএম বন্ধ তথা বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্ঠি হওয়ার ফলে আমাদের নিকট হতে বাঁশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, রাঙামাটি জেলার পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ কেপিএমকে তার চাহিদা মিটিয়ে পাকিস্তানের, লাহোরে বাংলাদেশ তথা রাঙামাটি বাঁশ সরবরাহ করা হত। এতে করে ব্যবসায়ী তথা সরকার প্রচুর পরিমাণ বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করত। দীর্ঘ বছর ধরে বিদেশেও বাঁশ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ যাচ্ছে বাঁশখালী, মহেশখালী, চকোরিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফসহ ঢাকা ও নরসিন্দীসহ বিভিন্ন জেলায়।
বাঁশ ব্যবসায়ী মো. রহিম বলেন, মুলি বাঁশ ৫ বছর আগে ১ হাজার বাঁশের বিক্রয় করা হত ৩০/৩২ হাজার টাকা।
বর্তমানে কেপিএম বাঁশ সরবরাহ বন্ধ থাকার ফলে এখন বিক্রয় করা হচ্ছে ৪০/৪৫ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেপিএম বন্ধ থাকার ফলে বাঁশ সরবরাহ একে বারেই কম এবং দাম বেশি।
ব্যবসায়ী খুরশিদ আলম, আবুল কাশেম বেলাল, মনছুর তারা জানান, আমরা বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযোগ করছি কেপিএম যখন প্রায় বন্ধের পথে বাঁশ সরবরাহ নিচ্ছেনা তাহলে বিদিশে আমাদের এ বাঁশ শিল্প সরবরাহ করতে পাড়লে সরকার প্রচুর পরিমাণ বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন হবে। এমনকি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। এছাড়া এ বাঁশ শিল্পে প্রচুর পরিমাণ জনবলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। বাঁশ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সুদৃষ্ঠি কামনা করেছেন পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ ব্যবসায়ীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন