ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামে জেলা পরিষদের অর্থায়নে খননকৃত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত একটি পুকুর দখল করে মাছ ও লাউ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদ বিভিন্ন পুকুর ও জলাশয় পুণঃখনন বা সংস্কার প্রকল্পের অধীনে বোয়ালমারী উপজেলায় ২২টি পুকুর খনন করে।জলাধারা সংরক্ষণের মাধ্যমে পরিবেশের উন্নয়ন, ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার ভূ-গর্ভস্ত পানির স্তরের উচ্চতা হ্রাসকরণ কমিয়ে আনা সহ পানিবাহিত ও পানীয় জল সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনার মাধ্যমে গ্রামীন জনসাধারণের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
কিন্তু বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামে ঘোষপুর মৌজার ৫৪৫০ দাগে ৩৭ শতাংশ খাস জমিতে জেলা পরিষদের একটি পুকুর রয়েছে। মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জেলা পরিষদের এই পুকুরটি বর্তমানে দখল করে মাছ ও লাউ চাষ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মো. আবুল হাসেম ব্যাপারী। স্থানীয় মানুষ যাতে পুকুরটি ব্যবহার করতে না পারে সে লক্ষে পুকুর ঘেঁষে প্রাচীর দেওয়াসহ তালা মেরে রাখা হয়েছে পুকুরে ঢোকার মূল গেটে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে জেলা পরিষদের অর্থায়নে পুকুরটি পুন: খনন করা হয়। খনন পূর্বে জেলা পরিষদের থেকে লিজ নিয়ে পুকুরটিতে মাছ চাষ করে আসছিল হাসেম ব্যাপারী। বর্তমানে পুকুরটি প্রকল্পধীন থাকায় লিজ বা মাছ চাষ নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু হাসেম ব্যাপারী প্রভাবশালী হওয়ায় এ বিধি নিষেধ অমান্য করে মাছ ও লাউয়ের চাষ করে আসছে। যে কারণে সাধারণ মানুষকে পুকুরটির পানি ব্যবহার করতে দিচ্ছে না সে।
এ ব্যাপারে মো. আবুল হাসেম ব্যাপারী বলেন, পুকুরটির দুই পাড়ে আমার জমি রয়েছে সে কারণে আমি পুকুরের চারপাশে লাউয়ের আবাদ করেছি এবং কিছু মাছ ছাড়া হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. আমিনুর রহমান বলেন, পুকুর দখল করে মাছ ও লাউ চাষ করার বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়গা খালি করে দেওয়ার জন্য বলেছি। দখলকারী আবুল হাসেম ব্যাপারী আমাদের কাছ থেকে ১৫-২০ দিনের সময় নিয়েছে। বিষয়টি জেলা পরিষদ কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন