আগামী ৭ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতিবাজ ও বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে দক্ষ, ত্যাগি, তৃণমূলের সাথে সম্পৃক্ত স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচ্ছন্ন নেতাদের নেতৃত্বে আনতে সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় সম্মেলনকে ঘিরে উত্তরের সাতটি উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে উচ্ছ্বাস-উদ্দিপনা। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষনাকে স্বগত জানিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের কাঙ্খিত নেতা বাছাইয়ে নড়েচড়ে বসেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে তাদের কাঙ্খিত নেতাকে, জেলার সভাপতি-সেক্রেটারি হিসেবে কাকে চান, দলের দুর্দিনে কে পাশে ছিল জানতে চাইলে অভিন্ন সুরে সবার মুখ থেকে ওঠে এসেছে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নাম। এদিকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওঠে আসে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এম. হুমায়ুন মাহমুদ, এমপি রাজী ফকরুল, এমপি সেলিমা আহমদ মেরি, এমপি সেলিনা ইসলাম, দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন ও জেলা যুগ্ম সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের নাম। এরা সবাই জনসম্পৃক্ত দাবি তৃণমূল নেতাদের। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের দুর্দিনের কান্ডারি ও আমাদের অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তার নেতৃত্ব তৃণমূলের শিকড় পর্যন্ত বিস্তৃত। নেতৃবৃন্দ বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় জেলার সব শীর্ষ নেতারা লাপাত্তা ও আত্মগোপনে চলে গেলে একমাত্র জাহাঙ্গীর আলম সরকারকে কাছে পেয়েছি, তিনি এই বিপদের সময়ে আমাদের ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন এবং আমাদের আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে দলে সক্রিয় থাকতে উৎসাহ যোগিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের আওয়ামী রাজনৈতিক অভিভাবক উল্লেখ করে নেতারা দাবি করে বলেন তাকে আমরা জেলার সভাপতি হিসেবে চাই। জাহাঙ্গীর আলম সরকার সভাপতির পদে আসীন হলে দল আরো সুসংগঠিত হবে এবং সভানেত্রীর হাত শক্তিশালী হবে।
এদিকে জেলা আ.লীগের সভাপতি হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমকে দেখতে চাই এমন প্রচার-প্রচারনায় ফেসবুক এখন ভাইরাল হয়ে গেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এমপি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া ইনকিলাবকে বলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভেতরে আরো মজবুত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে নেতৃত্বে আসতে হবে তৃর্ণমূলের পছন্দের ত্যাগী নেতা। এমপি সেলিমা আহমদ মেরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাহিকতা রক্ষা করা এবং দলে স্বচ্ছতা আনতে হলে জেলার নেতৃত্বে জনসম্পৃক্ত নেতার বিকল্প নেই। দাউদকান্দি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এড. আহসান হাবীব চৌধুরী লিল মিয়া বলেন, বিগত দিনগুলোতে যেসব নেতারা তৃণমূল নেতাদের পাশে থেকে দলে তাদের সক্রিয় রেখেছেন এমন নেতাদেরকে জেলা নেতৃত্বে চাই। মেঘনা উপজেলা আ.লীগের সেক্রেটারি রতন সিকদার বলেন, একটি দলের তৃণমূল হলো প্রান, তৃনমূলের সাথে যেসব নেতার সম্পৃক্ততা নেই তাদের কথা ভাবাই যায় না, তৃণমূলবান্ধব নেতৃত্ব চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন