শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির ধুম

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

সেমাই ছাড়া ঈদের উৎসব পালন যেন ভাবাই যায় না। তাই নীলফামারী জেলার বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল লাচ্ছা তৈরির ধুম পড়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব লাচ্ছা সেমাই বাজারজাত করা হচ্ছে দেদারছে। ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হয়ে পড়ায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই এসব লাচ্ছা সেমাই বিক্রি করা হচ্ছে খোলা অবস্থায় ও ক্ষতিকর প্যাকেটজাত পলি প্যাকেটে। অতি নি¤œমানের উপাদানে তৈরি এসব লাচ্ছা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকরা। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সৈয়দপুর শহরের পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য লাচ্ছা সেমাই কারখানা। এছাড়াও বিভিন্ন হোটেল, কনফেকশনারীতেও লাচ্ছা তৈরি করা হচ্ছে। যত্রতত্র লাচ্ছা সেমাই তৈরির মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিবছরই ঈদে শহরের এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোনো সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তৈরি করছে লাচ্ছা সেমাই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ লাচ্ছা তৈরির কারখানাগুলো বিএসটিআই-এর অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠিত নামিদামি অনেক কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব লাচ্ছা বাজারজাত করে আসছে মালিকরা। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাচ্ছা সেমাই সৈয়দপুর শহরের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অবাধে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষ করে ভেজালবিরোধী অভিযান শিথিল হয়ে পড়ায় লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। শহরের অলিগলিতে অস্থায়ী কারখানায় দিনরাত চলছে সেমাই তৈরির কাজ। আর অধিক মুনাফার আশায় এসব লাচ্ছায় ব্যবহার করা হচ্ছে নি¤œমানের অনুপযোগী ময়দা, পামওয়েলসহ অতি নি¤œমানের পুড়ে যাওয়া তেল। শহরে হাতেগোনা কয়েকটি সেমাই ও লাচ্ছা তৈরির বৈধ কারখানা থাকলেও তারা বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপটে। শহরের কাজীহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ি, হাতিখানা, নিয়ামতপুর, মুন্সিপাড়া, গোলাহাটসহ শহরতলীর আনাচে-কানাচে মৌসুমি লাচ্ছা তৈরির কারাখানা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্রেড বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু বলেন, অবৈধ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে তাদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। তাদের সেমাই ও লাচ্ছার দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন