বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যশোর মেডিকেল কলেজ নির্মাণ শেষ হলেও নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না

প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে
রহস্যজনক কারণে অধ্যক্ষের কালক্ষেপণের কারণে নির্মাণ শেষ হওয়ার পরও যশোর মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম নিজ¯ ভবনে শুরু হচ্ছে না। কলেজের  অবকাঠামো একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় দু’বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নানা অজুহাত দিয়ে নিজস্ব ভবনে নেয়া হচ্ছে না মেডিকেল কলেজ। ২০১০ সালের অক্টোবরে মেডিকেল কলেজ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ৫৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনে শুরু হয় যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম। সূত্র জানিয়েছে, মহিলা হোস্টেল, বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণ কাজ দেড় বছর আগে সম্পন্ন হয়েছে। অনেক আগেই শেষ হয়েছে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থাপনাসমূহ। দীর্ঘদিন যাবত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট ভবনে অস্থায়ীভাবে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আবেদন নিবেদন করেও নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজটি নিতে পারেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ একাডেমি ভবন ইচ্ছাকৃতভাবে বুঝে নিচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষ ভবনটি বুঝে না নেয়ার কারণে অযতœ আর অবহেলায় ভবনে লাগানো এসি, বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের অধিকাংশ মেশিনারিজ এখন নষ্ট হওয়ার পথে। অধিকাংশ জায়গায় মরিচা পড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা কলেজের নিজস্ব ভবনে যাওয়ার জন্য আন্দোলন- সংগ্রাম করেছে। ভাঙচুর করেছে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে অবস্থিত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ের অফিস ও প্যাথলজি বিভাগ। প্যাথলজি বিভাগের সবকিছু ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ছিল এক সপ্তাহের মধ্যেই নিজস্ব ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন মে মাসের শেষ সপ্তাহে কলেজের নিজস্ব ভবনে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে। কিন্তু তা হয়নি। জানা যায়, প্রস্তাবিত ১০ তলা ভবনের ছয়তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মিত ভবনে রয়েছে ৩য় তলায় পূর্ব ও পশ্চিম পার্শ্বে দুটি বড় গ্যালারি হল, বিভাগ ভিত্তিক ক্লাসরুম, ২য় তলায় ভবনের মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের অনুষ্ঠানের জন্য একটি বৃহৎ মাল্টিপারপাস হলরুম, এর পাশে ছোট-বড় ক্লাস রুম, ভবনের নিচ তলা ভবনের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে উত্তর পার্শ্বে উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি ও ভবনের মাঝামাঝি দুটি লিফট রয়েছ। সম্পূর্ণ ভবনে অফিস রুম বাদেও রয়েছে ২২টি ক্লাস রুম, একটি মেয়েদের কমন রুম। ভবনের ক্লাসে রুমে বেঞ্চ, ব্ল্যাক বোর্ড, এবং হল ও গ্যালারি রুমগুলোতে পার্টেক্সের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম জানান, কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এখনো কলেজ কর্তৃপক্ষ ভবনটি বুঝে নেননি। সূত্র জানায়, বর্তমানে সেখানে ৫৪৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পর আওতায় ৫শ শয্যার হাসপাতাল, মসজিদ, ছাত্র হোস্টেল এবং গবেষণাগারসহ কলেজের সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নের কাজে আপাতত শেষ হয়েছে। ২০০৮ সালে কলেজ অনুমোদন পাওয়ার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে শহরতলীর হরিণার (হন্যের) বিলে যশোর মেডিকেল কলেজের জন্য ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ নেয়া হয়। ২০১০ সালে হাসান ইন্টারন্যাশনাল ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজটি শেষ হয় ২০১৩ সালের শেষের দিকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন