২৪ ঘন্টার ব্যবধানে যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় পেঁয়াজ ও সবজিসহ ডাবল দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্যের সামগ্রী। বেনাপোল থেকে গত দু’দিন ধরে পেয়াজ উধাও হয়ে গেছে। সবজিতেও স্বতি নেই ক্রেতাদের মাঝে। যে পণ্য যে দামে বিক্রি হয়েছে শনিবার সকালে সে পণ্য প্রকার ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। আর ব্যবসায়ীরা অযুহাত খাড়া করে বলছেন শ্রমিক ধর্মঘট থাকায় বাজারের এই অবস্থা।
শনিবার বেনাপোল ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শিম পাইকারীতে বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা যা ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বেগুন পাইকারীতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়, ফুলকপি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৬৫ টাকা। একই ভাবে মুলা, উচ্চে, শসা, পাতাকপি, মিচুড়ি, লাউ, টমেটোসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজিতে ডবল ডবল দাম বৃদ্ধিতে বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বেনাপোলে ১/২ টি জায়গায় পেয়াজ বিক্রি হলেও তাওি আবার ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ, মাংসের দাম কিছুটা সিথিল থাকলেও চাউল, সয়াবিন তৈল এবং মসলা জাতীয় পণ্যসহ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।
এদিকে গত দুইদিন আগেও পেঁয়াজের কিছুটা দাম কমলেও এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে পাইকারীতেই ১ শ' ৭০ থেকে ৮০টাকা এবং নতুন আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে দামের ভারে বেশি নুইয়ে পড়েছে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সাধারণ ক্রেতারা। কারণ নির্দিষ্ট আয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের জীবন। সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বাজারকে অস্থির করে তোলা কোনোভাই কাম্য নয়।
এখন শীতার্ত আবহাওয়া। বাজারে শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। তারপরও এমন আকাশ ছোঁয়া দামের প্রতি সাধারণ মানুষ অস্ব¯িত প্রকাশ করে বলেন, বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম সিথিল করার কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত কতৃপক্ষ পদক্ষেপ না নিলে অসহায় হয়ে পড়বে নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ। ভারত থেকে চোরাই পথে যদিও কিছু পেয়াজ আসছিল তাও আবার বিজিবি বন্ধ করে দিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন