শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পেঁয়াজ ক্ষেত পাহারা দিচ্ছে রাত জেগে বালিয়াকান্দির কৃষকেরা

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:১৪ পিএম

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সদর ইউনিয়নের পাইকান্দি ভাটিপাড়া এলাকার মাঠে আগাম মুড়ীকাটা পেঁয়াজ ক্ষেত রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে কৃষকেরা। এই মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশায় প্রান্তিক কৃষকদের মুুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
পেঁয়াজ বাংলাদেশের পরিচিত ও অন্যতম মসলা জাতীয় একটি ফসল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠে এই ফসলের চাষ করে থাকে কৃষকেরা। আগাম মুড়ীকাটা পেঁয়াজ চাষের জন্য উচু জমির বেলে ও দোঁ-আশ মাটিতে ফলন ভালো হয়। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নেই কম-বেশী প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের চাষের উচু জমিতে মুড়ীকাটা পেঁয়াজের চাষ করে থাকে।
আগম মুড়ীকাটা পেঁয়াজের চাষ সাধারণত বর্ষা মৌসুমে উচু জমির বেলে বা দো-আঁশ মাটিতে রোপন করলে মাটি ভেদ করে গজিয়ে গাছ গুলো বেশ বড় ও হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। এর পর মাটির নিচে পেঁয়াজ গুলো বড় হলে দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে পেঁয়াজ উঠাতে পারে কৃষকেরা।
সোমবার বিকালে বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পাইকান্দি ভাটিপাড়া গ্রামের শাহাদত শরীফ এর ছেলে কৃষক মো. আকিদুল শরীফ জানান,আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও দেড় মাস পূর্বে ১৫৪ শতাংশ উঁচু জমির দোঁ-আশ ও বেলে মাটিতে আগাম মুড়ীকাটা পেঁয়াজের চাষ করেছিলাম। বর্তমান পেঁয়াজগুলো গজিয়ে ধীরে ধীরে বড় ও তরতাজা হয়ে উঠেছে এবং মাটির নিচে পেঁয়াজের গাছগুলো বড় হয়ে, তোলার উপযোগী হয়ে উঠেছে। এই পেঁয়াজ ফসল আমি এই সপ্তাহের মধ্যে ক্ষেত থেকে উঠিয়ে পরিচর্যার পর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাইকেরী ভাবে ব্যাপারীদের নিকট ভালো দামে বিক্রয় করে লাভবান হতে পারব বলে আশাবাদী। তবে পেঁয়াজের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় আমাদেরকে রাত জেগে পেঁয়াজ ক্ষেত পাহাড়া দিতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ১৫৪ শতাংশ জমির পেঁয়াজ ফসল প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি না হলে এবং পেঁয়াজ ফসল ভালো ভাবে উঠিয়ে বর্তমান বাজার অনুযায়ী বিক্রয় করতে পারলে খরচ বাদে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা তাদের মাঠের উঁচু জমিতে দেশীয় জাতের লালতীর মুড়ীকাটা পেঁয়াজের চাষ করে ভালো ফলন ও লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে সাড়ে ৮ শত হেক্টর উঁচু জমিতে দেশীয় জাতের লালতীর কিং, তাহের পুরী ও বাড়ী ওয়ান মুড়ীকাটা পেঁয়াজের চাষ করে প্রান্তিক কৃষকেরা এ বছরে অধিক লাভে বিক্রয় করবে বলে লাভের আশায় কৃষকেরা আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন