টাঙ্গাইলের সখিপুর হতেয়া গার্লস স্কুলের বাজারে মির্জাপুর বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁরির ২ পুলিশ সদস্য, ১জন এ এস আই, ১জন দালাল ২৫পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছে এলাকাবাসী এবং ২ পুলিশ সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এ এস আই হলেন রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ পিতা:রফিকুল ইসলাম গ্রাম:গুলরা থানা:সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, সদস্য গোপালসাহা পিতা:জীবন সাহা গ্রাম:ঢুলদিয়া থানা:কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ, মো:রাসেল পিতা:আখতারুজ্জামান গ্রাম:মোজাটি,থানা মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ ও দালাল হাসান মিয়া পিতা:বাচ্চু মিয়া,গ্রাম:নয়াপাড়া থানা :মির্জাপুর,টাংগাইল।পলাতক ২জন পুলিশ সদস্য হলেন, তোজাম্মেল ও আব্দুল আালিম। এলাকাবাসীরা জানান,বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় এসে এলাকার দালালদ্বারা বিভিন্ন কলাকৌশলে নিরপরাধ মানুষের পকেটে ইয়াবা দিয়ে তাদের কে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া হয়,পরে তাদের আনতে গেলে লাগে প্রায় লাখ টাকা।এরকম ভাবে বিভিন্ন কলাকৌশলে মানুষকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করছে বাশতৈল পুলিশ ফাঁড়ি। বৃহস্পতিবার (২৮/১১/২০১৯ইং তারিখ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাশতৈল ফাড়ি থেকে গার্লস স্কুলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা আসেন। ওই এলাকার ফরহাদ মিয়ার ছেলে বজলুর রহমানের পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ জনতা বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের একজন এমসআই ও দুইজন কনস্টেবল সহ চারজনকে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে আটকে রাখে এবং দুইজন কনস্টেবল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের দেহ তল্লাশি করে এশটি হ্যান্ডকাপ ও ২৫পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। পরে রাত সাড়ে আটটার সময় সখিপুর থানা পুলিশ ও বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এশটি কক্ষে আটককৃত চারজনকে উদ্ধার করে বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। রাতভর জল্পনা-কল্পনা শেষে সখিপুর থানার এস আই আইনুল হক বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে। পলাতক দুইজন কনস্টেবল তোজাম্মেল ও আ.আলীমকে গ্রেফতাওে চেষ্টা অব্যাহত আছে বাদী এসআই আইনুল হক জানান। সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো.আমির হোসেন বলেন,উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন