টাঙ্গাইলের সখিপুরে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে তিন পুলিশ এক সোর্স ফেঁসে গেছে এবং আরো দুই পুলিশ এক সোর্স পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে এসআই আইনুল হক বাদী হয়ে পুলিশের এক এএসআই পুলিশ চার পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্স সাত জনের নামে মামলা দায়ের করেছে। মাদক মামলায় আটককৃত মির্জাপুর বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রিয়াজুল,সদস্য গোপাল সাহা,রাসেলুজ্জামান রাসেল,সোর্স হাসানকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে সখিপুর থানা পুলিশ রবিবার তাদের টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন মাহাবুবার আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। একই আদালতে পরে গ্রেফতারকৃত অপর আসামী পুলিশের সোর্স আল আমিনকে হাজির করে পুলিশ ৫দিনের রিমান্ড চাইলে বিজ্ঞ আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখিপুর থানার এসআই ওমর ফারুক এর নেতৃত্বে ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার বেলতৈল এলাকা থেকে পুলিশের সোর্স আল আমিনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃত আল আমিন মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তবে এ ঘটনায় মামলার অপর দুই আসামী বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আব্দুল হালিম ও তোজাম্মেলকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্লেখ্য,গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সখিপুর উপজেলার হতেয়া ভাতকুড়া গার্লস স্কুল রোডে সিভিলে পুলিশ এক শ্রমিককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা কর্তৃক গণধোলাইয়ের শিকার হন মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের এক এএসআই চার কনস্টেবল দুই সোর্স। এর মধ্যে পুলিশের দুই কনস্টেবল ও এক সোর্স পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন