শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

রাউজানে বেগুনের বাড়ছে কদর

এম বেলাল উদ্দিন, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বেগুন সমগ্র চট্টগ্রামে চাহিদা রয়েছে। উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, নোয়াজিশপুর ও গহিরা ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সর্তা খালের পানি ব্যবহার করে কৃষকরা মৌসুমী বেগুন চাষে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সর্তাখালের দু’পাড়ে শত শত একর জমি সবুজে ঢাকা পড়েছে শীতকালীন বিভিন্ন ধরণের সবজিতে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। সর্তা ও ডাবুয়া খাল তাদের জীবন জীবিকার উৎস। এখানে উৎপাদিত বেগুনের কদর রয়েছে সমগ্র চট্টগ্রামে। বিশেষ করে ডাবুয়া, সর্তাপাড়ে উৎপাদিত বেগুনের স্বাদ আলাদা।
তারা জানায়, খাল দুটির পানি ব্যবহার করে প্রতিবছর শীতকালীন সবজি চাষাবাদে কৃষিজীবীরা মাঠে থাকে। এখানে শীতকালীন সবজির মধ্যে চাষাবাদ হয় বেগুন, আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সীম, বরবটি, মুলা, সরিষা ইত্যাদি
এলাকার লোকজন বলেছেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে খ্যাতি আছে এ এলাকার বেগুন। ডাবুয়ার বায়ুন নামে খ্যাত এ সবজি চট্টগ্রামের মানুষের কাছে প্রিয়। এ বেগুন প্রথম বাজারে এসে বিক্রি হয় কেজিতে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। গত বুধবার আমিরহাট বাজারে বিক্রি হয় কেজি ৬০ টাকা ধরে।
চাষি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, তিনি এবার বেগুন চাষ করেছেন এক একর জমিতে। তার ক্ষেত এখন ভরে উঠেছে বেগুনে।
সরেজমিনে রাউজানের সর্তা ও ডাবুয়া খাল পাড়ের সবজি ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ। তিনি কৃষকদের সাথে কথা বলে সমস্যা সম্ভাবনার কথা শুনেছেন। এখানে সবরকম সহায়তা দেয়ার কথাও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার সুশীল বলেছেন, কৃষি বিভাগের মাঠে থাকা কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিকভাবে সবজি চাষিদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা দিচ্ছেন। কৃষকরাও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ক্ষেতের পরিচর্যায় আছেন। এ কর্মকর্তা জানায়, রাউজানে এক হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষাবাদ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন