শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশকে আম ব্যবসায়ীদের সর্বনাশ

প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
পুঠিয়ার জিউপাড়া সরিষাবাড়ী গ্রামের আম ব্যবসায়ী সাদ্দাম আলী উপজেলার সরিষাবাড়ী বাজারের সার ব্যবসায়ী হযরত আলী মোল্লার মেয়াদ উত্তীর্ণ কিটনাশক ব্যবহার করে সর্বস্বান্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার ভুক্তভুগি আম ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাদ্দাম হোসেন জানান, সে ও তার তিন পার্টনার ইউসুফ আলী, সোহগ ও রবিউল ইসলাম নাটোর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা আগদিঘা গ্রামে দুই বিঘা আমের বাগান লীজ নেয়। সেই বাগানে ৯২টি আমের গাছে ভালোভাবে পরিচর্যা করায় বেশ ফল আসে। চলতি মাসের ১৪ তারিখে সেই বাগানের আমের পরিচর্যার জন্য ম্যাচপাড়া গ্রামের সরিষাবাড়ী বাজারের সার ব্যবসায়ী হযরত আলী মোল্লার কাছে পরামর্শ চাইলে সে তাদের সবিক্রন, টিল্ট ও জাজপাউডার ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। সেই মোতাবেক তারা সার ব্যবসায়ী হযরত আলী মোল্লার কাছ থেকে উল্লেখিত ওষুধগুলো ক্রয় করে আমবাগানে ¯েপ্র করে। ¯েপ্র করার কয়েক দিন পর অর্থাৎ চলতি মাসের ১৯ তারিখে বাগনে গিয়ে দেখে আমগুলো কালো হয়ে পচন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বাগানে এ অবস্থা দেখে তারা সার ব্যবসায়ী হযরত আলী মোল্লার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে হযরত আলী তাদের পাত্তা দেয় না। পরে নিরুপায় হয়ে সার ব্যবসায়ীর কিটনাশকের প্যাকেটটি ভালো করে দেখে কিটনাশকগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ ছিলো। বিষয়টি তারা পুনরায় সার ব্যবসায়ী হযরত আলীর কাছে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতির হুমকি প্রদান করে। হযরত আলী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় সে এ ধরনের আচরণ করছে বলে সাদ্দাম অভিযোগ করে। বর্তমানে আমবাগানের প্রত্যেকটি আমের গায়ে কালো দাগ ও পচন ধরেছে। এতে তারা প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন