শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বাউফলবাসীর পথের কাঁটা ২ ভাঙা ব্রিজ

বাউফল (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

পটুয়াখালীর বাউফলের চন্দ্রদ্বীপ ইউপির পশ্চিম চরমিয়াজান বাজার সংলগ্ন ব্রিজ ও আলগী ব্রিজ চার বছরেও সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসির দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন পৃথক এই দুইটি ব্রিজ পাড় হতে গিয়ে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, মহিলা ও শিশুসহ বয়বৃদ্ধরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। মুলভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন চন্দ্রদ্বীপ ইউপির উত্তর চন্দ্রদ্বীপের সাত-আটটি চরের প্রায় ১৪-১৫ হাজার মানুষের চলাচলে এই ব্রিজ দুইটি এখন মরণফাঁদ পরিনত হলেও সংস্কার কিংবা পূন:নির্মাণে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।
রায়সাহেব চরের মাঝখান দিয়ে তেঁতুলিয়া নদী থেকে ওঠে আসা চন্দ্রদ্বীপ ইউপির পশ্চিম চরমিয়াজান বাজার সংলগ্ন ব্রিজ ও চরনিমদী-চরআলগীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের ওপর জালাল ফরাজি বাড়ির পাশের আলগী ব্রিজ দুটির অধিকাংশ সøাবধসে যাওয়ার কারনে দু’পাশের চর রায়সাহেব, চরমিয়াজন, চরনিমদী, কিসমত পাঁচখাজুরিয়া, চরকচুয়াসহ ৭-৮টি চরের হাজারো মানুষ জিবেেনর ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ দুটি দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এছাড়া ৯৭ নং চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরওয়াডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মুল ভূখন্ডের ধানদী ফাজিল মাদরাসা, ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭১ নং নিমদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা কলেজ, বাউফল সরকারি কলেজ, নিমদী লঞ্চঘাটের যাত্রি ও ইউনিয়ন কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেন্টারের রোগী-সাধারনসহ উভয় পাশের চরমিয়াজান ও ধানদী বাজারের লোকজন প্রতিদিন চলাচল করে।
ব্রিজ দুইটির সøাব ও লোহার এ্যাঙ্গেল ক্ষতিগ্রস্থ’ হওয়ায় চলাচলের জন্যে স্থানীয়রা গাছের ডাল, বাঁশ ও কাঠের তক্তা দিয়ে যেন তেন ভাবে মেরামত করলেও সংস্কার কিংবা পূন:নির্মাণের কোন ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান, শারমীন, নার্গীস, সীফাসহ বেশকয়েকজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদকে জানান, ‘ব্রিজটি দু’টি দিয়ে পাড় হতে গিয়ে মহাভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, বয়োবৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুরা। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। গত এক বছরে অন্তত ৮-১০ বার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে ব্রিজ ব্যবহার করা শিক্ষার্থীরা’।
চর রায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কলি আক্তার জানান, ‘মাত্র বছর চারেক আগে ব্রিজ দুটি নির্মাণ করা হলেও ঠিকাদারের কারসাজির কারণে এই অল্প সময়েই ব্রিজদুটির করুন হাল হয়েছে। সিমেন্টের সøাব ভেঙে যাচ্ছে। গাছের ডাল, কাঠ, বাঁশ দিয়ে মেরামত করা হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। প্রতিদিন হাজারো চরবাসিকে মূলভূখন্ডের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাসপাতাল, বাজার ও নিমদী লঞ্চঘাটে পাড়ি দিতে হয়। বিকল্প কোন পথ না থাকায় এই দুটি ব্রিজ পাড় হতে চরবাসীদের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাড়িয়েছে। এ ছাড়া রায়সাহেব চরের গুচ্ছগ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে সেখানেও খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি হয়েছে’।
চন্দ্রদ্বীপের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়সাহেব এলাকার মেম্বর ছালাম শরীফ বলেন, ‘সিমেন্টের সøাব ও লোহার এ্যাঙ্গেলে নির্মিত ব্রিজদুটির অধিকাংশ সøাবই ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সংস্কারের ব্যাবস্থা করা হলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। চরের ছেলে-মেয়েরা এমনিতেই অনেক কস্টে নদী পাড় হয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়ত করে।
জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবে রায়সাহেবের গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন খালের ওপার নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণসহ এই দুই ব্রিজের খুব দ্রæত সংস্কার করা না হলে যেকোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন