শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ওসমানীনগরের দর্জি পাড়ায় বাড়ছে ব্যস্ততা

প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে

পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন জামাকাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দর্জিরা। দিনরাত কাপড় সেলাই মেশিনে বসে কাজ করছেন কর্মচারীরা। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকার মানুষ রেডিমেইট পোশাকের চেয়ে বানানো কাপড় ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। পবিত্র ঈদুল ফিতরে পোশাক বানানোর জন্য এখন দর্জির কদর বাড়ে বেশি। অর্ডার সময় মতো ডেলিভারি দিতে উপজেলার দর্জিরা গত ৫ রোজা থেকেই অর্ডার রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন। উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সেলাই মেশিনের শব্দে দর্জির দোকানগুলো মুখরিত। পছন্দের পোশাক বানাতে দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন শৌখিন ক্রেতারা। কেউ কথা বলতে চাইলে যেন দর্জিদের কথা বলার সময় নেই। সময় মতো কাপড় ডেলিভারি দিতে কাজ চলছে দুই সিফটে। দিনরাত চলছে সেলাইয়ের কাজ। তারাবিহ নামাজের পর ভিড় করছেন ক্রেতারা। উপজেলার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র গোয়ালাবাজার ও তাজপুরের টেইলাররা জানিয়েছেন অর্ডার রাখা ৫ রোজার ভিতর শেষ। এগুলো সময় মতো ডেলিভারি দিতে রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে। এখন কোন ধরনের অর্ডার রাখা যাচ্ছে না। রাখলে তা ঈদের আগে দেয়া সম্ভব নয়। দম ফেলার সুযোগ নেই। কেউ মাপ নিচ্ছে, কেউ কাপড় কাটছে, কেউ আবার তা সেলাই করছে, কেউ বা তাতে বোতাম লাগিয়ে ইস্ত্রি করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সময় মতো কাপড় ডেলিভারি দেয়ার জন্য দর্জিরা অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন। দোকানগুলোতে নারী-পুরুষ উভয়ের কাপড় তৈরি করতে আসছেন। ক্রেতাদের কথা রেডিমেইট পোশাকের চাইতে বানানো পোশাক টেকসই, ব্যবহারে আরাম। দর্জির দোকানে দেখা হয় মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও হাফিজ মনিরুল উদ্দিনের সাথে। তারা পাঞ্জাবি ও পায়জামা বানাতে এসেছেন। তারা জানান, নিজের পছন্দের কাপড় দিয়ে তৈরি পোশাকে আলাদা আনন্দ ও আরাম রয়েছে। মাসুমা বেগম ক্রেতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে থ্রিপিস সেলাই করতে দর্জির দোকানে এসেছি। কারণ একটাই দর্জির দোকান থেকে কাপড়  সেলাই করলে সেই কাপড় ফিটিং ভালো হয় আবার পড়তেও আরাম লাগে। গোয়ালা বাজারের মক্কা টেইলার্সের সত্ত্বাধীকারী আবুল কালাম ও তাজপুরের ন্যাশনাল টেইলার্সের আব্দুল মুকিত জানান, দোকানে পুরুষের মধ্যে হুজুররা বেশি আসছেন। মহিলারাও আসছেন। ঈদ উপলক্ষে আমাদের অর্ডার ভালোই। তবে সময় মত কাপড় ডেরিভারি দিতে ৫ রোজার মধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ। আগে যে অর্ডারগুলো নিয়েছি সেই কাজগুলোই শেষ করতে পারি কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন