শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমণ বালিয়াকান্দিতে পাটের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে

সোনালী আঁশ খ্যাত পাট উৎপাদনে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা আদিকাল থেকেই বিখ্যাত। এ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ পাট উৎপাদন হয়। বর্তমানে পাট ক্ষেতে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমণে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছে পাটচাষিরা। কৃষি অফিস কৃষকদের পরামর্শের কথা বললেও তাতে কোন ফল পাচ্ছে না চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নারুয়া, বালিয়াকান্দি, বহরপুর, ইসলামপুর, নবাবপুর, জামালপুর, জঙ্গলে চলতি পাট মৌসুমে ১২হাজার ২শত ৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। ও ৯৮৯৭ জাতের ৪৫৫ হেক্টর ও ভারতীয় জেআরও ৫২৪ জাতের ১১হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বিগত বছর ৯হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। পাট চাষে আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশ থাকায় বাম্পার ফলনের আশা থাকলেও প্রথমদিকে বৃষ্টি না হওয়াসহ বর্তমানে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমণের কারণে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় ভুগছে কৃষকরা। পাটচাষি মাসুদুর রহমান, ক্বারী আব্দুল মজিদ, আঃ সাত্তার জানান, এ বছর পাট চাষে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তা উঠাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রথমদিকে পাট বপন করার সময় খড়ার কারণে সেচ প্রদান করতে হয়। ঘন ঘন সেচ ও খড়ায় পাট মরে যায়। তারপরও ভালো ফলনের আশা করলেও বর্তমানে বিছা ও ছটকা পোকার আক্রমণ হওয়ায় ফলন বিপর্যয় হবে। এতে কৃষকের পাট চাষের খরচ উঠবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব খান জানান, বিছা পোকার আক্রমণে গাছ লম্বা হয় না, আর আঁশ বেশি হয় না। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাবে। পাটের বিছা পোকার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে ফ্লোরোপাইরিফস স্প্রে করতে হবে। কৃষকদেরকে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে আশা করা যাচ্ছে ফলন ভালো হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন