শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে
ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারসহ কুড়িগ্রামের প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে দেখা দিয়েছে আগাম বন্যা। প্রায় ৪ হাজার পরিবারের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাট, সবজি, কলা ও আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ৩৭, তিস্তায় ৩৬, দুধকুমারে ৩৫ ও ব্রহ্মপুত্রে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। দ্রুতগতিতে পানি বাড়ার ফলে নদ-নদী অববাহিকার চর, দ্বীপচর ও চরগ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘর-বাড়িতে পানি ওঠায় অনেকেই চলে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে বেশিরভাগই পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। গবাদী পশু-পাখি নিয়ে এরা পড়েছেন বিপদে। কুড়িগ্রাম সদর ফুলবাড়ি, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলার ধরলা অববাহিকার ৯টি ইউনিয়নের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় এসব এলাকার কলা, পাট, সবজি ও আমন বীজতলাসহ বেশকিছু ফসলের ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে বন্যার পানিতে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন ফসলের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চরের কৃষকরা। বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ এখনও শুরু না হলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন বন্যা মোকাবেলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন