মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফোরলেন উন্নতি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক দখল হয়ে অবৈধভাবে চলছে ইট-বালুর ব্যবসায়! বিশেষ করে স্ব স্ব এলাকার কিছু অসাধু চক্র ছরা খাল এলাকাগুলোকে এই ব্যবসা করছে দেদারছে। এতে করে বাড়ছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি প্রবণতা। অথচ মহাসড়ক ফোরলেন করার পর যানবাহনের গতি অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেনের মতো দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের উপর এভাবে ব্যবসা করে যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর প্রশ্ন জেগেছে সকলের। সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম এই ফোরলেনের বড় দারোগারহাটের উত্তর পার্শ্বে মহাসড়কের পশ্চিম অংশে অবস্থিত ফুটপাত থেকে প্রায় দুই-তিনশ গজ দখল হয়ে ইট-বালির ব্যবসা চলছে নিয়মিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার জনৈক ইলিয়াছ, হোসেন, ননাই ও লাতু এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়া মিঠাছরা ঠাকুরদীঘি মধ্যবর্তী স্থানে ছরা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বালু তোলা, গড়তাকিয়া ব্রিজের পার্শ্বে এবং সোনাপাহাড় ছরা থেকে মহাসড়কের উপরও কিছুদিন পর পর চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নাম বিক্রি করে একশ্রেণীর সুবিধাবাদী চক্র এইসব ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। তবে বড়দারোগারহাটের এই অংশে রীতিমতো মহাসড়কের উপরই ইট-বালি রেখে সাব ঠিকাদারি ব্যবসা ও চালাচ্ছে এই চক্রটি। যার কারণে এলাকার সাধারণ জনগণ রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ও বিভিন্ন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। উক্ত স্থানে ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্ঘটনায় হতাহত হবার ঘটনা ও ঘটে। বর্তমানে এলাকার জনগণ তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলে পুলিশ প্রশাসন দেখে ও না দেখার ভান করে চলে যেন। আরো উল্লেখ্য, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে পাশের অবস্থিত জাফরাবাদ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ এলাকার জনসাধারণ। ইট-বালুর জন্য অনেক সময়ে লাইন ধরে চলা দ্রুতগামী গাড়িগুলোর পাশ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবেই পারাপার হতে হয়। যেখানে মানুষ চলার কথা রাস্তার পাশের ফুটপাত দিয়ে কিন্তু এখন মানুষকে চলতে হচ্ছে রাস্তার মাঝ দিয়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শিক্ষক বলেন, মহাসড়কে এই ইট-বালুর জন্য জন্য আমাদের খুব ভয় ও বিড়ম্বনা মধ্যে পড়তে হয়। জনৈক কৃষক সুরুজ আলী বাজারে সবজি বিক্রির জন্য আনতে গিয়ে বলেন, কোন সময় যে নিজের প্রাণ চলে যায় জানতেও পারবো না, আবার বলতেও পারবো না। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ এসআই ফরিদ উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহাসড়কে কেউ এভাবে ব্যবসা করছে আমরা তা কখনোই মেনে নিব না। শীঘ্রই আমরা ঘটনাস্থলগুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আবার ফোরলেনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা শীঘ্রই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন