এস এম সুলতান খান, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথে চোরাচালান বৃদ্ধি, সীমান্ত রক্ষী বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। সীমান্ত সূত্র জানায় ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা, টেকের ঘাট, গুইবিল, চিমটিবিল, মোকামঘাট, দুধপাতিল, সাতছড়ি, কালেঙ্গা, ছনবাড়ী ও ফাঁটাবিলসহ বিভিন্ন সীমান্তে চোরাকারবারীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র আরও জানায় চোরা কারবারীরা প্রতিনিয়ত অবাধে সীমান্ত পথে দেশীয় ফ্রেশ তেল, ডিজেল, সয়াবিনসহ বিভিন্ন জাতের দ্রব্যাদি চুনারুঘাট বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে ট্রলিসহ বিভিন্ন গাড়িতে করে পাচার করছে। এর বিনিময়ে ভারতীয় নেশা জাতীয় দ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য ডাল, চিনি, জিরা, পেঁয়াজ, হিরোইন, মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল, গরুসহ নানান জাতের জিনিস এ সমস্ত সীমান্ত পথে আনা হচ্ছে। আনিত নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি জেলার শায়েস্তাগঞ্জ, মিরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং ও চুনারুঘাটের বিভিন্ন চিহ্নিত এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ যুবকরা। উল্লেখ্য যে, চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় অনেক চোরাকারবারীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে স্থানীয় তথাকথিত জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজসে তাদের তৎপরতা আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, ২০০৭ সালের ২৭ জুন চুনারুঘাটের সাতছড়ি সীমান্তপথ দিয়ে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিছ ও ব্লাউজ ভর্তি একটি ট্রাক চুনারুঘাট থানা পুলিশ আটক করেছিল। ঈদ আসলেই মেতে উঠে চুনারুঘাট সীমান্ত চোরাকারবারীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন