নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পাইকারি কাঁচাবাজারে ঢেঁড়সের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। পাঁচ কেজির পাল্লা হিসাবে প্রতি কেজি ঢেঁড়সের দাম দুই টাকা পড়লেও মিলছে না ক্রেতা। অনেকেই কম দামে এসব ঢেঁড়স গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে কিনে নিচ্ছেন। উপযুক্ত দাম না পেয়ে ঢেঁড়স চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সৈয়দপুরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার নয়াবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে ঢেঁড়স প্রতি পাল্লা কেনা হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। উৎপাদন খরচের কয়েকগুণ কমে ঢেঁড়স বিক্রি করে কৃষকদের চোখে-মুখে নেমে এসেছে অন্ধকার। এমন কি তোলা কৃষাণ খরচ, পৌরসভার টোল ও ভ্যানভাড়ার খরচও উঠছে না। প্রায় আট কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব অসুরখাই থেকে আবুল হোসেন নামে এক কৃষক সাড়ে ৩২ কেজি ঢেঁড়স এনে পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে হতাশায় মাথা চাপড়াতে দেখা গেছে। এছাড়া পাইকারি বাজারে সকল প্রকার শাকসবজি, শশা, বরবটি, পটল, করলা, কাকরল প্রভৃতির দাম কমে যাওয়ায় কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাজারে প্রতি কেজি শশা ১২ টাকা, পটল চার টাকা, কাকরল ১৫ টাকা কেজি দরে পাইকাররা কিনছেন। রমজান মাস শুরু হওয়ায় এসব শাকসবজি খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না বলে জানান আড়তদাররা। এদিকে তরিতরকারির দাম পড়ে যাওয়ায় ঢেঁড়স, পটল, বরবটি ইত্যাদি সবজি পাইকারি দরে অনেকেই গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে কিনে নিচ্ছেন। জানা গেছে, উপজেলার বোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, বড়দহ, দিলালপুর, কাশিরাম, খাতামধুপুর এলাকার কৃষকরা লাভের আশায় শাকসবজির আবাদ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন। বাজারে দাম না পাওয়ায় ক্ষেতের ফসল গরু-ছাগল লাগিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন। এ অবস্থায় পাইকাররা সস্তায় এসব সবজি কিনে ট্রাকযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন