বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত গাঁজার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৮, সিপিসি-২, ফরিদপুর ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন ঘোনাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পায়। তদ্প্রেক্ষিতে ১০/১২/২০১৯ইং তারিখ রাতে গোপন উৎস থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে, ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন ঘোনাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক সাহেব আলী মাতুব্বর এর বাড়ীতে মাদক দ্রব্য গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ১০/১২/২০১৯ইং তারিখ ২১.১৫ ঘটিকার সময় ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানাধীন ঘোনাপাড়া গ্রামস্থ জনৈক সাহেব আলী মাতুব্বর এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী আসামী ১। মোঃ সাহেব আলী মাতুব্বর(৬৫), পিতা- মৃত শামছুদ্দিন মাতুব্বর, ২। শাহানা বেগম (৫০), স্বামী- মোঃ সাহেব আলী, উভয় সাং- ঘোনাপাড়া, থানা- নগরকান্দা, জেলা- ফরিদপুর’দেরকে আটক করে। এ সময় আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা ০২(দুই) কেজি ৫০০(পাঁচশত) গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রিত নগদ ৯৩,৩০০/-(তেরানব্বই হাজার তিনশত) টাকা ও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ০২টি সীমকার্ডসহ ০২টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ মাদক দ্রব্য গাঁজা নিজ হেফাজতে রেখে নগরকান্দা থানার বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করে থাকে।
উদ্ধারকৃত গাঁজা ও অন্যান্য আলামত সহ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন, ২০১৮ এর ৩৬(১) সারনীর ১৯(ক) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন