গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা
গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী চর এলাকাসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার যমুনা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাপাশিয়ার পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি এরেন্ডাবাড়ী পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে নদ-নদীর এই আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ও জুম্মাবাড়ী, তাজপুর এবং ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির পটল, ঢেঁড়স, করলা, ঝিঙাসহ গ্রীষ্মকালীন সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে সাঘাটা উপজেলায় তলিয়ে গেছে প্রায় ৩শ’ হেক্টর জমির সবজি। ঈদের আগে উঠতি ফসল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে দরিদ্র কৃষকরা। ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক শহিদ বলেন, বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করে লাভ তো দূরের কথা আসলটাই ঘরে তুলতে পারলাম না। লাল শাক, পুঁই শাকতো গেছেই, পটলে একবার পানি উঠলে সেটা আর টেকে না। ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশিদুল আলম জানান, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদী তীরবর্তী এলাকার নিচু জমির অনেক সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। লতানো জাতীয় সবজিতে পানি ঢুকে পড়লে সেটা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নামার পর স্বল্পকালীন সবজি চাষের পরামর্শ দেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন