শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার সৈকতে মদের বোতল দিয়ে সাজানো সেই কটেজে অভিযান

কক্সবাজার থেকে বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৬ পিএম

কক্সবাজার সৈকতের হিমছড়ি বীচে মারমেইড ক্যাফের মদের বোতল দিয়ে সাজানো সেই আলোচিত কটেজে অভিযান চালিয়েছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অস্ট্রেলিয়ান এক নারী পর্যটককে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা হলে ওই কটেজটিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালায়।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে অভিযানে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরী।

মারমেইড বিচ রিসোর্টের মালিক আনিসুল হক সোহাগের বাড়ির ভেতরেই এই কটেজটি অবস্থিত। আনিসুল হক সোহাগ তার মাদকাসক্ত ছোটভাই স্যামকে এই কটেজ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলো।

এই কটেজে নিয়মিত রমরমা মদের আসর বসতো বলে অভিযোগ উঠেছে। কোন ধরনের নিরাপত্তা ছাড়াই দেশি বিদেশি পর্যটকদের অননুমোদিত এই কটেজে রাখা হতো।

গত কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষনের চেষ্টা করার অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়া এই কটেজ পরিচালনাকারী আনিসুল হক সোহাগের মাদকাসক্ত ছোটভাই স্যামকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫ টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কটেজটি থেকে উদ্ধারকৃত মালমাল জব্দ করে সিজার লিস্ট তৈরী করা হচ্ছিল বলে একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানিয়েছেন। অভিযান পরিচালনার সময় আনিসুল হক সোহাগের ভাগিনী পরিচয়দানকারী উম্মে হাবিবা নামক একজন মহিলা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মোহা. শাজাহান আলি জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অননুমোদিত এই কটেজটিতে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ একটি এলাকা। কক্সবাজারের সুনাম রয়েছে বিশ্বের সর্বত্র। এ অবস্থায় উক্ত আলোচিত কটেজে সম্প্রতি সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অস্ট্রেলিয়ান নারী পর্যটককে ধর্ষনের চেষ্টা করার অভিযোগ খুবই দুঃখজনক।

কক্সবাজারকে “পর্যটন রাজধানী” ঘোষনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে এডিএম মোহা. শাজাহান আলি বলেন, সরকারি বিধি মেনেই, কক্সবাজারের সুনাম বৃদ্ধির চিন্তা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীদের কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসা করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের সুনাম ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোন কাজ কোন অবস্থাতেই কাউকে করতে দেওয়া হবেনা। কেউ পর্যটন শিল্পের কোথাও অনৈতিক কাজ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে, পর্যটকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চাইলে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে জানান তিনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন