জাপানের সাংবাদিক শোইওরি ইতো’কে ধর্ষণ করেছিলেন তার দেশের উচ্চ পর্যায়ের একজন টিভি সাংবাদিক। এ নিয়ে ইতো মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় তিনি বিজয়ী হয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন ওই টিভি সাংবাদিক। তাকে জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার ডলার। এই অর্থ ধর্ষিত ইতো’কে দিতে বলা হয়েছে।
শোইওরি ইতো অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালে তিনি যখন অচেতন ছিলেন তখন তাকে ধর্ষণ করেন সাংবাদিক নোরিয়ুকি ইয়ামাগুছি। তখন প্রসিকিউটররা বলেছিলেন, এটিকে একটি ফৌজদারি মামলা হিসেবে আমলে নেয়ার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
ফলে শোইওরি ইতো এ অভিযোগে একটি সিভিল মামলা করেন। ফলে তার দেশে তিনি নারীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের হ্যাসট্যাগ মি টু-এর এক প্রতীকে পরিণত হন। যেখানে সহসাই কেউ মুখ খোলেন না যৌন নির্যাতন নিয়ে।
আদালত রায় ঘোষণার পর ৩০ বছর বয়সী শোইওরি ইতো সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, আমি খুব খুশি। রায় ঘোষণার পর তিনি ইংরেজি ভি চিহ্ন প্রদর্শন করেন। তবে ওই রায় দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ইয়ামাগুছি বলেছেন, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। এ সময় তিনি আবারো ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
শোইওরি ইতো অভিযোগ করেন, কিভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল তা দেখাতে লাইফ সাইজ একটি পুতুলের সঙ্গে অভিনয় করে দেখাতে তাকে বাধ্য করেছিল পুলিশ। জাপানে ২০১৭ সালের এক সরকারি জরিপে দেয়া যায়, শতকরা মাত্র ৪ ভাগ ভিক্টিম অভিযোগ নিয়ে পুলিশের কাছে যায়। সূত্র : বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন