সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে বাবা-মাকে মারধর করে বাহিরে আটক রেখে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এসময় ধর্ষণকারীরা ওই বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুট চালিয়েছে। পরে হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন দিলে চরজব্বার থানার পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে।
রোববার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম চর মজিদ এলাকার আশ্রয়ণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তার মা বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, স্থানীয় হোসেন বাহিনীর একদল সন্ত্রাসী তাদের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং লুটপাট চালায়। এ সময় গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বাহির করে মারধর করে। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা তার মেয়েকে ৩জন ধরে রাখে এবং দুইজন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। রাতে ধর্ষিতা কিশোরী আত্মহত্যা করারও চেষ্টা করে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে চরজব্বার থানার পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে। পরে ধর্ষিতাসহ তার বাবা-মাকে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সকালে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহি উদ্দিন আবদুল আজিম জানায়, ভিকটিম কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ওসির দায়িত্বে থাকা চরজব্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন জানায়, রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরপরেই পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন