বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে দুই বন্ধু মিলে গণধর্ষণ: ধর্ষিতা হাসপাতালে ভর্তি

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১২ পিএম

মাদারীপুরে দেখা করার কথা বলে ডেকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই তরুণের বিরুদ্ধে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ভুক্তভোগী ধর্ষিতা। গত শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা ও রাজৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার শাখারপাড়ে এই ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে ভুক্তভোগী ও তার স্বজন এবং পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষার্থীর সাথে কয়েক দিন আগে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় হয় রাজৈর উপজেলার কবিরাজপুর ইউনিয়নের বিশ্বম্বরদী এলাকার হাসান নামের এক তরুণের সাথে। গত শনিবার বিকেলে দেখা করার কথা বলে স্কুল ছাত্রীকে রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় ব্রিজ এলাকায় ডেকে নিয়ে যায় হাসান। এসময় হাসানের সাথে ছিলো তার বন্ধু রাব্বি। দেখা করতে গেলে ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে ব্রিজের পাশের একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে পালাক্রমে একাধিকবার গণধর্ষণ করে হাসান ও তার বন্ধু রাব্বি। একাধিকবার গণধর্ষণের ফলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই বন্ধু মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মেয়েটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের স্বজনরা রাতে সাড়ে ১১ টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগীর বাবা জানায়, একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে দুইজন ছেলে মিলে আমার মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করে। আমি বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফিরে দেখি আমার মেয়ের খুব খারাপ অবস্থা। মেয়ের শরীর বেয়ে প্রচুর রক্ত পড়ছে। উপায় না দেখে আমি তাড়াতাড়ি মেয়েকে নিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ছুটে আসি। আমরা অনেক গরিব মানুষ স্যার। যারা আমার মেয়ের সাথে এই জঘন্য কাজ করেছে প্রশাসনের কাছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাই।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রুবায়েত ইবনে হাবীব বলেন, রাতে একটি মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নিয়েছি। তার ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিটা পরীক্ষার ফলাফল আসলে জানা যাবে।
জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা ধর্ষণের ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। খবর নেয়ার জন্য ঘটনাস্থলে আমাদের শ্রীনদী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ পাঠিয়েছি। ওটা আমাদের দুই থানার একটি সীমান্তবর্তী বাগান হওয়ায় ঘটনাস্থল কনফার্ম করে ধর্ষিতার পরিবারকে আইনগত সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন