নগরীর আকবরশাহ থানা এলাকায় সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনায় সাত ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সের ওই তরুণী পরিবারের সাথে রাগ করে কুমিল্লা জেলা থেকে চট্টগ্রামে আসে। পরবর্তীতে শনিবার সকালে সে কুমিল্লা ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় ট্রেনে যেতে না পারায় রেললাইনের পাশ ধরে হাঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে আকবরশাহ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকাস্থ এনআর স্টিল মিলস সংলগ্ন মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পাশে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে পড়ে। তখন এক যুবক তাকে তার বাসায় নিয়ে মা-বাবার সাথে রাখার প্রস্তাব দেয়। সেখান থেকে তাকে কুমিল্লায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে আরো দুই যুবক হাজির হয়।
তরুণী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই তিনজন মিলে তাকে জোর করে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ীর ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারধর করে জোরপূর্বক একাধিকবার পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও তরুণীর বর্ণনা মতে আসামীদের শনাক্ত করতে মাঠে নামে পুলিশ। শনিবার রাতেই প্রথমে মো. আরিফুল ইসলাম আরিফকে (২৩) জঙ্গল লতিফপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর পাকা রাস্তা এলাকা থেকে মো. নয়ন (২৯) ও নিমতলা থেকে আব্দুল লতিফকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। মো. নয়ন ও মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ গত বছর কোতোয়ালি থানার একই অপরাধ প্রক্রিয়ার ঘটনায় তথা অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, ধর্ষণের ঘটনার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যায়। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পায়। তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন