ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী দ্বারা গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না Ñএই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন এবং ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম।
গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। মামলাটির বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলছিল।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৮জনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার্জশিট দেয় পুলিশ। গত বছর ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় চার্জ ফ্রেম করেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন Ñসাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরা করা মামলায় আদালতে পৃথক আরেকটি চার্জশিট দেয়া হয়। বাদীপক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন