বুধবার রাতে গণধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগস্থ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে বের হচ্ছিলেন। এ সময় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের তুলে নেয়। ৭-৮ জন মিলে তাদের হ্যালিপাডের পাশেই নির্মাণাধীন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের ভবনে নিয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুকে মারধর করে তাকে গণধর্ষণ করে।
এর প্রতিবাদে বহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকালে প্রশাসনের সাথে সমঝোতা বৈঠক হবার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু কিছু শিক্ষার্থী সড়ক থেকে না সরলে বহিরাগতদের হামলায় ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদিকে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে শুক্রবারও উত্তাল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে অবস্থান নেয়। এসময় বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে স্লোগানে স্লোগানে কম্পিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাস্পাস।
শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পরবর্তী আন্দোলনের করণীয় ঠিক করতে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষের। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ কিউ এম মাহবুব তার কক্ষে শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন