শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুলবাড়ী পল্লী উন্নয়নে দুর্নীতির অভিযোগ

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় এবং সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সুকদেব রায়ের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, উৎকোচ আদায়, ক্ষমতার দাম্ভিকতা দেখিয়ে কর্মস্থলে অবস্থান না করা ও অনিয়মিত আগমন প্রস্থান এবং আয় বহির্ভূত প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর শহরে নিজস্ব বহুতল ভবন নির্মাণসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। গত বুধবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মিজানুর রহমান ও সহকারী উপপরিচালক গোলাম রব্বানীর সমন্বয়ে ২ সদস্য তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় এবং সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সুকদেব রায় অত্র অফিসে যোগদানের পর থেকে উভয়ের যোগসাজসে ইউসিসিএ-তে অচলাবস্থা সৃষ্টি করছেন। তারা সমবায়ীদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে প্রশিক্ষণের অর্থ আত্মসাৎ করেন। গত অর্থ বছরে সাধারণ সভা ও নির্বাচনের ব্যয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আসবাব পত্র ক্রয় বাবদ ১ লাখ টাকা, আইডিইএল প্রকল্পে প্রশিক্ষণের সহায়তা ভাতা প্রদান না করে প্রায় ৬ লাখ টাকা, পিআরডিপি প্রকল্পের ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় ১৫ লাখ টাকা এবং মাঠকর্মী সাইফুর রহমানের নামে ৩০টি ও রুবেল ইসলামের নামে ২টি চেকের মাধ্যমে ২০১৭ সালে আইডিইএল প্রকল্পের মোট ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা উত্তোলনসহ প্রায় ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে, ইউসিসিএ কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদানে ১ লাখ টাকা এবং বেতন স্কেল/২০১৫ বাস্তবায়নের জন্য ৩০ হাজার টাকা, উদকনিক প্রকল্পের ২ মাস ট্রেইনিং-এর জন্য ৪৮ জন প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউসিসিএর সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী সরকারসহ চারজন সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে এবং মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন দফতরে অনুলিপি প্রদান করলে তদন্ত শুরু হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিজয় কুমার রায় এবং সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সুকদেব রায় জানান, আমরা কোনো দুর্নীতি করিনি। ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ সমূহ তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মাছুমা আরেফীন জানান, দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন