শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

শীতে কষ্ট বেড়েছে বেদেদের

স্টাফ রিপোটার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চাঁদপুর শহরের বুক চিরে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদীতে বসবাসরত শতশত বেদে পরিবারসহ বিভিন্ন স্থানের বেদে পল্লীর লোকজন কনকনে শীতে নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীতে তাদের ছোটছোট শিশু-কিশোর ও বয়বৃদ্ধদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে বলে বেদে গোত্রের সর্দারগন জানান। বছরের বারো মাসই নদীতে মাছ শিকার করে কিংবা সিংগা লাগিয়ে অথবা বাড়িতে বাড়িতে থালা বাসন বিক্রি করে তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। হাঁড় কাঁপানো শীতের মধ্যেও দেখা গেছে বেঁদে পরিবারের লোকজন নদীর পানির ওপরই শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছেন।
চাঁদপুর শহরের প্রেসক্লাব ঘাট ও ১০নং চৌধুরী ঘাটস্থ বেদে পল্লীতে দেখা গেছে, পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষরা শীতের কাপড়ে কষ্ট পাচ্ছেন। শীতের হিমেল হাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কারো কারো গায়ে পুরান শীতের পোষাক থাকলেও অনেকের গায়ে তেমন কোনো ভালো শীতের পোষাক নেই। তবে বেদে পরিবারের শিশুদের চেয়ে শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন বয়বৃদ্ধরা। সরকারি ভাবে প্রশাসন থেকে এখনো সাহায্য সহযোগিতা পাননি বলে জানিয়েছেন বেঁদে পল্লীর সর্দার আব্দুল মালেক বেপারী।
১০নং ঘাট ও ৫নং ঘাট এ দুই স্থানের বেদে পরিবারদের সরদার আবদুল মালেক সরদার জানান, শহরের এ দুই স্থানে মোট ২শ’ ৭০ জন বেদে পরিবার রয়েছে। গত বছর সুজিত রায় নন্দীর মাধ্যমে মাত্র ৫০ জন সদস্যের মাঝে ৫০টি শীতের পোষাক দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিশুদের জন্য কিছু শীতের পোষাক বিতরণ করেছিল। শহরের প্রেসক্লাব ঘাট ও ৫নং খেয়া ঘাটের বাইরে শেখের হাট, শাহতলী নদীর পাড়, হাজীগঞ্জ, মতলব, পুরানবাজার, শহরের আক্কাছ আলী এলাকা, রঘুনাথপুরসহ শহর ও শহরের বাইরে বহু বেদে পরিবার রয়েছে। তারাও একই ভাবে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, গত কয়েকদিন চাঁদপুরে শীত পড়তে শুরু করেছে। আমরা ইতোমধ্যে অসহায় ও দুস্থ্যদের মাঝে শীতবস্ত্র দেয়া শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সবাই শীতবস্ত্র পাবে। তবে জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে চাঁদপুরে বসবাসরত বেদেদের জন্য গরম কাপড়ের ব্যবস্থা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন