লাল-সবুজের রঙে সেজেছে কুমিল্লার ২০টি বিদ্যালয় ভবন। দৃষ্টিনন্দন বিদ্যালয়গুলো এখন হয়ে ওঠেছে একেকটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে জাতীয় পতাকার রঙ আর রূপে সজ্জিত ২০টি বিদ্যালয় ভবন শিশুদের উপহারস্বরূপ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দির প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছে। শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরে পড়া শিশুদের ফিরিয়ে আনা, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হাতেখড়ি শিক্ষা দেয়ার লক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন বিজয়ের মাস ডিসেম্বর উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ভেতরের দেয়ালও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন চিত্রে সাজানো হয়েছে।
পেন্নই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার বলেন, এটি একটি মডেল। এখন আর কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোঁজতে হবে না। লাল-সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই এখন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এমন রূপে সাজানোর ফলে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়া শিশু সহজে জাতীয় পতাকার রঙ জানতে পারবে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিত্তবান, অভিভাবক ও শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়গুলো শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোম করার ভাবনা থেকে ‘এক্সিলেন্ট স্কুল’ নামে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে জাতীয় পতাকার রঙে সজ্জিত করা হয়েছে। শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোমের ভাবনা থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এর সাফল্য হিসেবে ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে লক্ষণীয় হয়ে ওঠেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি এবং বেড়েছে ভর্তির হারও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন