মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পবিত্র রমজান মাসেও ব্যাপক হারে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে। সময় অসময়ে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। বিদ্যুতের এই ভেলকি বাজিতে রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে ঈদকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা তাদের বেচাকেনায় দুর্ভোগে পড়েছে। উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নির্ভরযোগ্য এক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান দেশে কাগজ-কলমেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থাপিত ক্ষমতা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গড়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়ার্টের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই করুণ পরিস্থিতিতে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা কমেনি। এক্ষেত্রে এ উপজেলার অবস্থা আরও করুণ। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ বার প্রতিবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আধা ঘণ্টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকাকালীন সময়ে তারা শতভাগ উদাসীন থাকে বলে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে থেকে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেই বিদ্যুৎ কর্মীরা তাদের মুঠোফোনগুলো বন্ধ রাখে। ফলে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণ জানা সম্ভব হচ্ছে না। এ দিকে বিদ্যুৎ এর এই ঘনঘন লোডশেডিংয়ে পড়ে রমজানের রোজাদারদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে মাগরিবের ও তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং এর ফলে রোজাদারদের দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়ে যায়। এ দিকে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগের শিকার বিদ্যুৎ গ্রাহক বিভিন্ন মার্কেটে গার্মেন্টস মালিক, বিভিন্ন ব্যবসায়ীবৃন্দ ও টেইলার্স এন্ড ক্লথ স্টোরের মালিকরা “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, ঈদকে সামনে রেখে তাদের ব্যবসা এই মাসে একটু ভালো হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তারাও বিপাকে পড়েছে। টেইলার্সগুলোর অধিকাংশই দর্জির সেলাই মেশিন বিদ্যুৎ চালিত। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ফলে ওয়ার্ডার নেয়ার কাপড়গুলো নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণসহ বিদ্যুৎ বিভাগ সংক্রান্ত কোন প্রকার তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন