শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরের টেইলারিং হাউসগুলোর কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত

প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে

উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদকে সামনে রেখে টেইলারিং হাউসগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফলে এখানকার টেইলারিং মাস্টার ও কারিগরদের কাটছে নির্ঘুম রাত। এবারে রোজার শুরু থেকে সৈয়দপুরের দর্জির দোকানগুলোতে পোশাক সেলাইয়ের অর্ডারের চাপ বেড়েছে। আর তাই কাটিং মাস্টার, সহকারী কাটিং মাস্টারের হাত থেকে যেমন কাঁচি পড়ছে না তেমনি মেশিন থেকেও কারিগরদের হাত-পা সরছে না। সৈয়দপুরের নিউ ক্লথ মার্কেট, রেলওয়ে কাপড় বাজার, সৈয়দপুর প্লাজাসহ পাড়া-মহল্লা মিলে প্রায় ৭ শতাধিক দর্জির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে মহিলারা নন-স্টিচ থ্রি-পিস আর পুরুষরা প্যান্ট, শার্টের পিস ও কাপড়ের প্যাকেট নিয়ে ছুটছেন। টেইলার মাস্টারদের মতে, এবারে কাজের অর্ডার সবচেয়ে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ছেলেরা বডিফিটিং শার্ট ও ন্যারো পেইন প্যান্ট সেলাইয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। আর মেয়েরা ঝুঁকছে হাল ফ্যাশনের লংকামিজ সেলাইয়ের প্রতি। সেমিলং কামিজের সঙ্গে ডিভাইন টাইপের সালোয়ার সেলাইয়ের চাহিদাও রয়েছে। শহরের বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, কাটিং মাস্টার, সহকারী কাটিং মাস্টার ও কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত নেই। বিভিন্ন ফ্যাশনের সালোয়ার-কামিজ ও শাট, প্যান্ট আবার কোনো কোনো দর্জি হাউস পায়জামা-পাঞ্জাবি সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কারিগররা। এবছর প্রতিটি সেলাইয়ের মজুরি বাড়ানো হয়েছে। প্যারিস টেইলার্সের মালিক শাহিন জানান, কারিগরদের মজুরি, দোকান ভাড়া, সুতা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় পোশাক তৈরির রেটও কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। শবেবরাতের পর থেকেই সেলাইয়ের অর্ডার আসতে শুরু করেছে। এখনো অর্ডার নেয়া হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর আর অর্ডার নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি। ভাই ভাই টেইলার্সের মালিক বিপুল চন্দ্র রায় ওরফে ভারত জানান, আমরা প্যান্ট সেলাইয়ে ৪০০ টাকা ও শার্ট সেলাইয়ে ৩০০ টাকা নিচ্ছি। আর কারিগরদের দিতে হচ্ছে প্যান্টে ১শ’ ১৫ টাকা, শার্টের জন্য ৭৫ টাকা। গেল বছরের চেয়ে এবছর কাজের চাপ বেশি। তাই টেইলারিং মাস্টার ও কারিগরদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। সকাল থেকে রাত অবধি কারিগরদের হাত-পায়ে চলে মেশিনের খট খট আওয়াজ তুলে পোশাক সেলাইয়ের বিরামহীন কাজ। এবার বেশিরভাগ সেলাই পোশাকে অর্ডার অনুযায়ী বৈচিত্র আনতে সময় লাগছে বেশি। অপরদিকে, বেশিরভাগই ক্যাটালগ অনুযায়ী অথবা নমুনা সাথে এনেই সালোয়ার-কামিজের অর্ডার দিচ্ছে মেয়েরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন