শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

টাঙ্গাইলে তীব্র শীতে বিক্রি বাড়ছে শীতবস্ত্রের

আতাউর রহমান আজাদ, টাঙ্গাইল থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:৪৪ এএম

টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা সদর ও কোর্ট এলাকায় পুরাতন শীতবস্ত্রের মার্কেট জমে উঠেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের শীতের কাপড়ের চাহিদা মেটাতে সেখানে তিন শতাধিক দোকান বসেছে। নিম্ন আয়ের ক্রেতারা দাম কম পেতে ভিড় জমাচ্ছেন রাস্তার পাশে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পরিত্যক্ত জায়গায় সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে। এ এলাকায় প্রতিবছর হেমন্তের শুরুতে শীতবস্ত্রের বাজার বসে থাকে। কম দামে শীতবস্ত্র পাওয়ার আশায় ক্রেতারাও ভীড় করছেন। পুরাতন শীতবস্ত্রের বাজার জমে উঠলেও গত বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় প্রতি বেল্টে তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। এ অতিরিক্ত টাকা দেয়ার পরও তাদের কিনতে হচ্ছে নিম্নমানের বেল্ট। যা বিক্রি করে মূলধন আর যাতায়াতের খরচ উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
টাঙ্গাইলের শীতের পুরাতন কাপড়ের বাজার ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ও কোর্ট চত্ত্বর এলাকায় তিন শতাধিক দোকান বসেছে। এ স্থানের প্রতিটি দোকানই শীতের কনকনে ছোঁয়া লাগার সাথে সাথেই জমে উঠেছে কেনাকাটা। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান।
পৌষ ও মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় ক্রয়ের জন্য ঝুঁকছে মানুষ। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামিদামি মার্কেট থেকে বিভিন্ন ধরণের গরম কাপড় কিনতে পারলেও গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা টাঙ্গাইল কোর্ট চত্ত্বর ও জেলা সদরের হকারদের বিক্রি করা গরম কাপড়ের মার্কেট। গত বছর মহিলাদের যে পাতলা সোয়েটার ১০০-১২০ টাকা দাম ছিল, এবার শীত আসার শুরুতেই তা কিনতে ১৫০-২০০ টাকা লাগছে। শীত নিবারণের জন্য বাধ্য হয়েই তারা চড়া দামে কাপড় কিনছেন।
সদর উপজেলার পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী রজিব মিয়া, মো. মাখন মিয়া জানান, গত বছর পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট চট্টগাম থেকে সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৮ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সে বেল্ট আনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২২ হাজার টাকায়। তুলনায় দুই থেকে আড়াই হাজার এবং আরো একটু মান সম্মত বেল্টে ৪-৬ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর বেল্টের দাম বৃদ্ধি পেলেও কাপড়ের মান অন্য বছরের তুলনায় নিম্নমানের। যা ভেঙে বিক্রি করে চালানের টাকা তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন