অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
জাতীয় বেতন স্কেলে শতভাগ বেতনভাতা পাওয়ার দাবিতে চৌদ্দগ্রাম ও হাজীগঞ্জে পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তারা মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট-
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, জাতীয় বেতন স্কেলে শতভাগ বেতনভাতা পাওয়ার দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের ট্রেনিং সেন্টার এলাকায় মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চৌদ্দগ্রাম জোনাল অফিসের জিএম মৃদুল কান্তি চাকমা, এজিএম আবু জাফর, দীপন চৌধুরী, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াছ পাটোয়ারী, আনোয়ারুল হক, শাহিনুর রহমান, ওয়ারিং ইন্সফেক্টার আবদুস সালাম, বিলিং সহকারী আকলিমা আফরোজ, এলএম সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিআরইবি জাতীয় বেতন স্কেলে বেতনভাতা নিলেও অধীনস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ জুলাই থেকে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি করেন তারা’।
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ভিক্ষা চাই না অধিকার চাই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার হাজীগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ হাজীগঞ্জ এর সকল কর্মচারীগণ সমিতি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। সরকার ঘোষিত জাতীয় পে-কমিশন শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর চাঁদপুর-১ এর নারী কর্মচারীসহ ৪শ কর্মচারীর অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধনে লাইন টেকনিশিয়ান ফেরদৌস রানা, জিল্লুর রহমান, হিসাবরক্ষণ সহকারী ইব্রাহমী খলিল, লাইনম্যান জহিরুল ইসলাম, ওয়ারিং পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বক্তব্য দেন। এতে বক্তরা বলেন সরকার ঘোষিত পে-স্কেল বাস্তবায়ক আমাদের হাজার হাজার কর্মচারীর প্রাণের দাবি। আমরা কেন বৈশম্যের শিকার হবো। আমাদের এই আন্দোলন চলবে আর দাবি বাস্তাবায়ন না হলে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের কর্মসূচির আহ্বান করা হবে। বক্তরা আরো বলেন, সরকারের বিদ্যুৎ বিতরণের ৭০ ভাগ কাজ আমরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীরা করে থাকি। অথচ আমরা বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন