শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাদারীপুর পৌর এলাকা - রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে যানজট অব্যাহত, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাদারীপুরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারে কেনাকাটা করার জন্য এখন মানুষের উপচেপড়া ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু পুরান বাজার প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি পথের ১টিতে রাস্তা নির্মাণে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এবং অন্যটিতে কিছু অংশে কাজ করে কার্পেটিং না করায় যাতায়াতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পুরান বাজার প্রবেশে ৩টির মধ্যে মাত্র ১টি পথ ভালোভাবে যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত থাকায় ঈদে এ বাণিজ্যিক এলাকায় গ্রামাঞ্চলের মানুষসহ স্থানীয় লোকদের যাতায়াতের দুর্ভোগ বেড়েছে। অসহনীয় এ অবস্থার কারণে প্রায় পুরান বাজারে প্রধান সড়কসহ আশপাশের গলির রাস্তাগুলোতে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারে প্রবেশে সুমন হোটেল থেকে বাদামতলা ভায়া হয়ে মুচিবাড়ি পর্যন্ত, পোস্ট অফিস বা কুলপদ্দি চৌরাস্তা থেকে মুচিবাড়ি পর্যন্ত এবং ইটেরপুল থেকে রিভার ব্যাংক ভায়া হয়ে কাজিরমোড় পর্যন্ত এ ৩টি রাস্তা দিয়ে পুরান বাজারে প্রবেশ করতে হয়। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বা কাউকে অবহিত না করে বাদামতলা ভায়া হয়ে মুচিবাড়ি পর্যন্ত পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে নির্মাণ কাজ করায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি আসন্ন ঈদ উপলক্ষে চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে পোস্ট অফিস থেকে ভুইয়াবাড়ি ভায়া হয়ে মুচিবাড়ি পর্যন্ত পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তায় ইটের সোলিং ফেলানোর পর কার্পেটিং না করায় এ রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে ইটেরপুল এলাকায় পৌর ড্রেনের কাজ করায় এবং ৪ লেন রাস্তার কাজ অব্যাহত থাকায় রাস্তার খোঁড়াখুঁড়ির মাটি স্তূপাকারে হওয়ায় ওই এলাকা দিয়ে সাধারণ পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার বেহালদশায় পুরান বাজারের কাঁচামালের বাজার সংলগ্ন রাস্তা যত্রতত্র অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে পুরান বাজার এখন যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে। এদিকে ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌর এলাকায় নির্মিত ড্রেনগুলোর সাথে নদী বা খালের সরাসরি সংযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় এ দুর্ভোগের পর যদি সামান্য বৃষ্টি পড়ে তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কগুলোত পানি জমে দুর্ভোগ থাকে অন্তহীন। এ বিষয় কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারি পরিলক্ষিত না হওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এব্যাপারে পৌর মেয়র ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন