দুপচাঁচিয়া উপজেলায় আবাদকৃত আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে এলাকার কৃষকরা। বগুড়া তথা উত্তরাঞ্চলের শষ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা। চলতি মৌসুমের আমন ধান কাটা শেষ হতেই এলাকার কৃষকরা ফাঁকা জমির রসালো মাটিতে আলু লাগানো শুরু করে। ধান কাটার ২ থেকে ৩ দিন পরই আলু জমি প্রস্তুত করে সেখানে আলু লাগায়। ইতিমধ্যেই জমিতে লাগানো আলুর গাছগুলো বড় হতে শুরু করেছে। বিস্তির্ন মাঠ সবুজে ভরে গেছে। এলাকায় সাধারণত সোনামুখী, লালপাকড়ি, বটপাকড়ি, ফাটা পাকড়ি, রমনা গ্যানেলা ও হাইব্রিট জাতের আলু উৎপাদিত হয়। এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এবার আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অত্যান্ত উপযোগী অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া এ উপজেলায় সার ও বীজের কোন সংকট নাই। ফলে কৃষকরা অত্যান্ত স্বাচ্ছন্দে আলু আবাদ করে আশানুরুপ ফলন পেতে পারে। কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেছে, এবার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু উৎপাদিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার জিয়ানগর, চামরুল, গুনাহার, গোবিন্দপুর, তালোড়া ও সদর ইউনিয়নের সাহারপুকুর, চৌমুহানী, বাজারদিঘী, মোস্তফাপুর, জিয়ানগরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ আলুর গাছের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে। কৃষকরা জমিতে আলুর এই গাছগুলো পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে আইল তৈরীসহ পানি সেচ কাজে কৃষকরা ব্যস্ত। অনেকেই আলুর জমির গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে তাতে সার দিয়ে গাছের পরিচর্যা করছে।
উপজেলার সদরের পশ্চিম বোরাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আমিনুর রহমান, সাজাপুর গ্রামের মুনছুর আলী, মোস্তফাপুর গ্রামের খন্দকার ফজলে আলম জানান, এবার সময়মত জমির উর্বরতা থাকার কারণে ও আবহাওয়া অনুকুল থাকায় আলু চাষে সবাই বেশি মনোযোগী হয়েছে। তারা আরো জানান বর্তমানে সার ও বীজের সংকট না থাকলেও গত কয়েকদিন কনকনে ঠান্ডা আর শীতল হওয়ার কারনে আলুর গাছে পচনের আশংকা করলেও গত দু’দিনে রোদ ওঠায় তা কেটে গেছে। ভবিষ্যতে যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তবে আশানুরুপ ফলন পাওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন