রড-সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ না করেই চলে গিয়েছিল ১ম ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন জাগে এ সেতুর কাজ কবে শেষ হবে। অবশেষে এ সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামরাইয়ের রাজাপুর-কহেলা-আতুল্লাচর বংশী নদীর উপর ৭৫ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডি ও বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২২ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ফাহিম কনস্ট্রাকশন নামে ১টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু বছর খানেকের মধ্যে সেতুর ৬টি পাইল নির্মাণের পরই রড সিমেন্টের মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে নির্মাণ কাজ প্রায় ৪০ ভাগ হলে বন্ধ করে দেয় এ ঠিকাদার। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সেতু নির্মাণ। সেতু নির্মানের বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য গত বছর পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়। এর মূল্য ধরা হয় প্রায় ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪১ হাজার টাকা। বর্তমানে নুনা টেড্রার্স-ফাস্টবিল্ড জেভি নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে ধামরাই উপজেলার চৌহাট, বালিয়া, আমতা ও পাশবর্তী নাগরপুর এবং মির্জাপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে ধামরাই সদর ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে না। এ সেতুর কাজ শেষ হলে সাধারণ মানুষ জনদুর্ভোগ হতে বেঁচে যাবে। তাদের আর ঘুরে পথ পারি দিতে হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন