শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ছদ্মবেশে মাদক কারবার ধরাছোঁয়ার বাইরে গডফাদার

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারা দিয়ে একের পর এক আসছে ইয়াবা চালান। ছদ্মবেশে চলছে ব্যবসা আর সব সময়ের মতই ধরাছোয়ার বাইরে গডফাদাররা। গত তিন বছরে পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে ৪৬০ জন। উদ্ধার করা হয়েছে ২১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার ১০০ টাকার মাদকদ্রব্য।
মাদক পাচারে নিরাপদ ট্রানজিট হিসাবে বেছে নিয়েছে আনোয়ারা উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানকে। মিয়ানমার থেকে আনোয়ারার ১২টি পয়েন্টে ঢুকেছে সর্বনাশা ইয়াবাসহ দেশি-বিদেশি মদ ও গাঁজা। পয়েন্ট গুলো হচ্ছে- উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের বাচা মাঝির ঘাট, উঠান মাঝির ঘাট, দোভাষী বাজার ঘাট, চিপাতলী ঘাট, গলাকাটার ঘাট, বার আউলিয়ার ঘাট, দক্ষিণ গহিরা ঘাটকুল, পূর্ব গহিরা তেলিপাড়া, পড়–য়া পাড়া বাতিঘর, পারকি সমুদ্র সৈকত, জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের শঙ্খের পাড়, গোদার পাড়, বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ ফেরিঘাট, বরুমচড়া ইউনিয়নের ভরাচর এলাকায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে এসব পয়েন্ট হয়ে সড়ক ও নৌ-পথে সারা দেশে চলে যাচ্ছে এই মাদকদ্রব্য। মাদক চালানের খবর বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত তিন বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ২১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ৭ লাখ ২০ হাজার ৫৬১ পিস ইয়াবা, ৭ হাজার ২৩১ লিটার দেশীয় চোলাই মদ, ৬৪০ বোতল বিদেশী মদ, ৩৯৯টি বিয়ার ও ১৪.৫৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। মামলা হয় ৩৫৭টি। গ্রেফতার হয় ৪৬০ জন। তবে এই সংখ্যা খুব একটা আশা দেখাচ্ছে না এ অঞ্চলের মানুষের জন্য। ইতোমধ্যে এলাকার নারী, তরুণ ও যুব সমাজ খুচরা মাদক ব্যবসার দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই যুবতী নারী, তরুণ ও যুবক।
স্থানীয়রা বলছেন, উপকূলীয় এলাকায় মাদকদ্রব্য চালান বন্ধ করতে না পারলে অচিরেই ধ্বংস হবে আনোয়ারাসহ দেশের ছাত্র, তরুণ ও যুব সমাজ। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যা নামলে তরুণ, যুব ও বৃদ্ধা পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন নির্জন এলাকায় বসে শুরু হয় মাদক সেবনের প্রতিযোগীতা। আবার এমন অভিযোগও রয়েছে, টাকার অভাবে কোনদিন মাদক সেবন করতে না পারলে স্ত্রীর স্বর্ণসহ ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে মাদক সেবনকারীরা। ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করতে না পারলে দোকান, সৌরবিদ্যুতের সোলার প্যানেল অথবা বিভিন্ন ধর্মীয় উপসনালয়ের দানবক্স চুরি করে। উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে পার্কি সৈকতে ঘুরতে এসে ৫ তরুণ অতিরিক্ত মাদক সেবন করে অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ২ জন মৃত্যুবরণ করে। বাকী ৩ জন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, যাদেরকে গ্রেফতার করি তারা জামিনে এসে পুনরায় ছদ্মবেশে নতুন নতুন কৌশলে ব্যবসা চালায়। এলাকার জনগন সচেতন থাকলে এবং আমাদেরকে সহযোগিতা করলে সহজে বন্ধ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বর্তমানে অভিযান চলমান রয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন