অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
গাইবান্ধা ও শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও ছেলেসহ নিহত হয়েছে ৩ জন ও আহত হয়েছে ৩৬ জন। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গতকাল মঙ্গলবার সকালে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার সীমানা সংলগ্ন অভিরামপুর ব্রীজের কাছে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাস-ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপার ও বাসের যাত্রীসহ কমপক্ষে ৩১ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এতে বাস ও ট্রাকটি সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। উদ্ধার অভিযানের কারণে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়রা জানায়, হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস ঢাকা থেকে রংপুর অভিমুখে আসছিল। বিপরীত দিক আসা ট্রাক পাথর বোঝাই ঘটনাস্থলে আসলে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বাস ও ট্রাকের ড্রাইভার, হেলপার, বাসের যাত্রীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের শিবগঞ্জ পৌর এলাকার পাইলিং মোড়ে ট্রাক-মিশুক মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এছাড়া একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জন আহত হয়েছে। নিহতরা হলো- উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শেরিনা বেগম (৩৫) ও তার ছেলে ইমন (১০) ও একই গ্রামের মাহবুবের স্ত্রী জাকেরা বেগম (৩৯)। এ ঘটনায় ট্রাকসহ চালক তোফাজ্জল হোসেনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি খালি ট্রাক (২০-০৩২৩) চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ যাবার সময় পাইলিং মোড়ে একটি মিশুককে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মিশুকে থাকা যাত্রী শেরিনা বেগম ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং ইমন আলী, জাকেরা বেগম, রনি, এজাবুল, মোয়াজ্জেমসহ আরও ২ জন গুরুত্বর আহত হয়। এদের মধ্যে ৫ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পথেই জাকেরা বেগম ও নিহত শেরিনা বেগমের ছেলে ইমন আলী মারা যায়। আহত অপর দুইজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আটককৃত তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন