শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

২ শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান

দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

মীরসরাই উপজেলার ১৬নং সাহেরখালী ইউনিয়নের মানুষের অক্ষর জ্ঞান শিখার একমাত্র বিদ্যালয় হচ্ছে দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু শিক্ষক সঙ্কটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ৭ জন শিক্ষকের পদের বিপরিতে ২ জন শিক্ষক কর্মরত থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাকিয়া গোলাপ নিপা মন্ত্রণালয়ে তার নিকট আত্মীয়ের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে রয়েছে গত ২০১৩ ফেব্রæয়ারি ১৬ তারিখ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় ৭ বছর ধরে।
বিদ্যালয়ে তিন শিক্ষকের মধ্যে কর্মরত আছে ২ জন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িতপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন ১ বছরের পিটিআই প্রশিক্ষণ এর জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে আছেন। অপর দু’সহকারী শিক্ষক নিলুফা আক্তার ও আলতাফ হোসেন।
সরজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি আর হৈচৈয়ে ব্যস্ত।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, বিদ্যালয়টি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে পৌনে দুইশ’ শিক্ষার্থী। এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সঙ্কট কারণে পড়াশোনায় ব্যঘাত ঘটছে বিদ্যায়লটির।
শিক্ষকেরা জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে ২৫ জন, ১ম শ্রেণিতে ২৭ জন, ২য় শ্রেণিতে ২৫ জন, ৩য় শ্রেণিতে ৪৫ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৩২ জন ও ৫ম শ্রেণিতে ২১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
একজন অভিভাবক অনেকটা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, কম শিক্ষকের কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে। সম্প্রতি জানতে পারি ৫ বছর ডেপুটেশন থাকা শিক্ষিকা নিপা বিদ্যালয়ে যোগদান না করে ১ বছরের জন্য প্রশিক্ষণে গেছে। এই ধরণের কোনো সরকারি নিয়ম আছে কি?
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাকে প্রায় সময় প্রশাসনিক কাজে উপজেলা সদর কিংবা বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এমনকি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও বিদ্যালয়ের একাডেমি কার্যক্রম করতে গিয়ে আমাকে ব্যস্ত থাকতে হয় এবং মাঝে মাঝে অন্য আরেকজন শিক্ষকের সহযোগিতাও নিতে হয়। এতে করে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জহুরুল হক মেম্বার জানান, চরাঞ্চলের নিরক্ষর মানুষের অক্ষর জ্ঞানদানে বিরাট ভূমিকা রাখছে এই বিদ্যালয়। আমি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান চৌধুরী ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মীরসরাই উপজেলার সভাপতি মনজুরুল কাদের চৌধুরীর কাছে বারবার বলার পরও তারা কোনো প্রদক্ষেপ নেননি। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রæত শিক্ষক সঙ্কট দূর করা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রহমান চৌধুরী বলেন, উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ে শিগগিরই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। শিক্ষিকা জাকিয়া গোলাপ নিপা ডেপুটেশান এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে তার নিকট আত্মীয় থাকায় তিনি চট্টগ্রাম জেলা অফিস থেকে ডেপুটেশান গেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন