মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা সদরের উত্তর কাউন্নাড়া এলাকার সউদী প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন আক্তার (২৬) ও তার শিশু পুত্র নূর হোসেনকে (৫) হত্যা ঘটনায় নিহত পারভীনের দেবর সোলাইমান হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সাটুরিয়া থানার ওসি মতিয়ার রহমান মিঞা গত শুক্রবার রাতে ঘটনায় নিহত পারভিনের দেবর সোলাইমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার গভীর রাতে সাটুরিয়ার উত্তর কাউন্নারা গ্রামের সউদী প্রবাসি মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভিন আক্তার ও তার ৫ বছরের ছেলে নুর হোসেন তাদের দু’তলা ফ্ল্যাট বাসায় খুন হয়। সকালে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। পরে এই ঘটনায় নিহত পারভীনের মা মজিরন বেগম বাদী হয়ে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সোলাইমান হোসেন খুনের কথা স্বীকার করেছে। স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী সোলাইমান হোসেনের সাথে তার মেঝ ভাই মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীনের পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনমাস আগে সোলাইমান মালয়েশিয়া থেকে পড়াশুনা করে দেশে আসে। এরপর পারভীনের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক আরও গভীর হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পারভীন সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। ঘটনারদিন রাত ১০টার দিকে সোলাইমান হোসেন পারভীনের ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে পারভীন আক্তার সোলাইমানকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। সোলাইমান ২ ভাতিজা আব্দুল করিম (১০) ও নুরের (৫) কথা চিন্তা করে বিয়ের জন্য রাজি হননি। বিয়েতে রাজি না হওয়াতে পারভীন আক্তার তার নিজের দুই ছেলে, স্বামী ও সোলাইমানকে হত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সোলাইমান ঘরে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে পারভীনের গলায় আঘাত করেন। ভাতিজা আব্দুল নুর জেগে উঠলে তাকেও চাকু দিয়ে হত্যা করে সোলাইমান এবং রক্তমাখা চাকু ও তার পরিহিত কাপড় ধুয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম জানায়, সাটুরিয়াতে মা ছেলে খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় হত্যাকাÐের সাথে দেবর সোলাইমান জড়িত। তাকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন