নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে জেলার প্রধান বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শহরের মার্কেট ও রেললাইন ধারের ফুটপাতের সবগুলো দোকানই ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে থাকছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কারোরই যেন দম ফেলানোর ফুসরত নেই। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দোকানে দোকানে আলোকসজ্জা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ঈদে দোকানগুলোতে আলোকসজ্জায় ছিল লাল, নীল, সবুজ রঙের বাতি। এবার সাদা রঙের বাতি যোগ হয়েছে। দেখতে দারুণ সুন্দর। ক্রেতাদের নজর কাড়ছে একাধিকবার। গতবার ঈদের বাজারে দখল ছিল মেয়েদের নজরকাড়া জামা কিরণমালা, পাখি, ভালোবাসা ডটকম ইত্যাদি। এবার এসব জামা-কাপড় ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ আকর্ষণ এবং নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে এসেছে ঈদের বাজারে নতুন নতুন ডিজাইনের নানা রঙ-বেরঙের পোশাক। মেয়েদের জন্য নামি-দামি ঈদের পোশাকের ছড়াছড়ি রয়েছে বড় বড় বিপণিগুলোতে। এবারের ঈদে মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নজরকাড়া ইন্ডিয়ান পোশাক ‘বাজিরাও মাস্তানি’। এছাড়াও রয়েছে-লেহেঙ্গা, সারারা, জিপসি ইত্যাদি। পরিবারের মেয়ে ও মহিলা ছোট-বড় সবার জন্য এই পোশাক বাজারে এসেছে। বাগদাদ ক্লথ স্টোরের বিক্রেতা গিয়াসউদ্দিন জানান, বাজারে আরো এসেছে ‘বাজরাঙ্গী’। এটাও ইন্ডিয়ান পোশাক। পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য এই পোশাক খুবই আকর্ষণীয় এবং মানানসই। দাম ৮০০ থেকে ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া এবারে ১৮০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০০ টাকার মধ্যে মেয়েদের জন্য ইন্ডিয়ান পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলার কামারপুর ইউনিয়নের দলুয়া কলেজছাত্রী সুরভী জানান, এ বছর জামার দাম অনেক চড়া। তাও আবার মনমতো জামা মিলছে না। তবুও উপায় না পেয়ে সামনে ঈদ উপলক্ষে নতুন জামা তো নিতেই হবে। বাজারদর সম্পর্কে সৈয়দপুরের কহিনুর ক্লথ স্টোরের স্বত্ব¡াধিকারী ইকবাল জানান, এবারের ঈদের বাজারে নতুন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোশাক এসেছে। এই পোশাকে ঈদের বাজারে নিয়ে এসেছে আভিজাত্যের প্রতীক। ভারতীয় জামাগুলো বেশি দামে কেনার ফলে বিক্রির সময়ও একটু চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত রোজাগুলোতে বাজার তেমন না জমলেও এখন ঈদবাজার জমে উঠতে শুরু করেছে। নতুন পোশাকগুলো পরিবেশসম্মত এবং মানানসই হবে বলে জানান তিনি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন