নারী নির্যাতন, ধর্ষণ এবং কোনো ধরণের নারী নির্যাতনের ঘটনাকেই সরকার বিচারহীন অবস্থায় রেখে দিতে চায় না। এ কথা বলেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ (এমজেএফ) আয়োজিত ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০২০’ শীর্ষক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, মানবাধিকার সম্পর্কে সরকারের অনেক অর্জন বা সাফল্য রয়েছে। তবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিশেষ করে নারী নির্যাতন বন্ধের ক্ষেত্রে।
সরকার ধর্ষণসহ নারী নির্যাতনের অন্যান্য ঘটনাকে কোনোভাবেই বিচারহীন অবস্থায় রেখে দিতে চায় না। রেখে দেবেও না। এ বিষয়ে সরকার অনেক সজাগ। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা/সংগঠনগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, তারা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক কাজ করছে। আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির সঙ্গে মানবাধিকার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সেজন্য সরকার সব উন্নয়নের প্রয়াসে মানবাধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে আসছে।
সংস্থার সদস্য পারভীন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ডিএফআইডি বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ জুডিথ হার্বাটসন, ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্রিসটিন জোহানসন, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আব্দুস সালাম, এমজেএফ’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
এর আগে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন এমন ১০ জনকে সম্মাননা ও পদক দেয়া হয়। তারা হলেন, গাইবান্ধা জেলার মোছাম্মৎ বেলী বেগম, দিনাজপুর জেলার মোছা. রেহানা বেগম, মালতী রানী, কৃষ্টিয়া জেলার মোছা. সালেহা বেগম, মোছা. হালিমা খাতুন ও মোছা. নূরজাহান বেগম, সিরাজগঞ্জ জেলার মো. খায়রুজ্জামান মুন্নু, কিশোরগঞ্জ জেলার আনোয়ারা বেগম, ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. হেদায়তুল আজিজ (মুন্না) এবং খাগড়াছড়ি জেলার চঞ্চল কান্তি চাকমা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন