আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) একটি তাৎপর্যপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নগরীতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “এই আইনের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে কেউ কথা বলে না। শুধু বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই আইন করা হয়েছে, যা মোটেও সঠিক নয়।” বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ‘সেফ ডিজিটাল সোসাইটি : দ্য রোল অব দ্য স্টেট’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এটি প্রত্যাশিত যে যদি একটি আইন থাকে, তবে তার কিছু অপব্যবহার হতে পারে- উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, কীভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে অপরাধ সংঘটিত করা যায়, সেই চেষ্টাও করা হবে, কারণ অপরাধীরা সবসময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে, কিন্তু এখন পুলিশ এবং আইন প্রণেতাদের প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে। প্রস্তাবিত তথ্য সুরক্ষা আইন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এর আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেই আইন করা হয়। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে ডেটা সুরক্ষা আইন কার্যকর করা হবে। এতে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।
সেমিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি মো. নাজমুল ইসলাম এবং আইসিটি বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি) প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন