চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নিখোঁজ হওয়া ইউসুফ আলীকে পাওয়া না গেলেও দুলারহাট থানার ক্লোজকৃত ওসি বিরুদ্ধে আদালতে দাখিলকৃত মামলা প্রভাবিত হয়ে রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ করেছেন বাদী।
মামলার বাদী মো. রাসেল অভিযোগ করেন, নীলকমল গ্রামের তার চাচা ইউসুফ আলী নিখোঁজের পর চরফ্যাশন থানায় গত ১৬ নভেম্বর ১৯৯৪ তারিখে সাধারণ ডায়রি করেন। তাকে খুঁজে না পাওয়ায় পরবর্তীতে তাদের ধারণা যে, তাকে প্রতিপক্ষ সুখরঞ্জন কবিরাজ গংরা হত্যা বা গুম করেছে। রাসেল বাদী হয়ে চরফ্যাশন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুখরাঞ্জন কবিরাজ, অনুকুল কবিরাজ ও বশির চৌকিদারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৬৪/৩৬৫/৩০২/৫০৬(২)/৩৪ ধারা মোতাবেক গত মে ২০১৯ তারিখে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি দুলারহাট থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক ১ মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী বিষয়টি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস আই শাহাজালালকে তদন্তের জন্যে দেয়া হয়। শাহাজালাল বদলী হলে ওসি নিজের হাতেই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব রেখে কালক্ষেপন করেন। নুরাবাদ ও আহম্মদপুর নির্বাচনে পূর্বে ত্রæটির জন্যে নির্বাচন কমিশন ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারীকে ভোলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর ৭মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তরিগরি করে প্রভাবিত হয়ে ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী আদালতে ষড়যন্ত্রমূলক রিপোর্ট প্রদান করেন। তা বাদীর বিপক্ষে।
মামলার বাদী মো. রাসেল বলেন, আমার চাচাকে তারা ভারত নিয়ে যাওয়ার পর আমরা আর পাইনা। আমার চাচাকে উদ্ধারের জন্যে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালতের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন