বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা
বাগেরহাটের রামপালে গরীব দুস্থদের নামে (ভারনারেবল গ্রুপ ফিডিং) ভিজিএফের বরাদ্দকৃত চাল ওজনে কম দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে ইউপি সচিবসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে প্রশাসন। গত বুধবার সন্ধ্যায় রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় বুধবার রাতে রামপাল উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জি এম সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রামপাল থানায় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আব্দুল্লাহ ফকির, সচিব ও তার নয় ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এজাহারনামীয় আসামী ইউপি সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন ও চৌকিদার মোনায়েম খানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকির রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (২৭) ও চৌকিদার খান মোনায়েম (৩৩)। রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব কুমার রায় বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত বুধবার বাইনতলা ইউনিয়নের সহস্রাধিক ভিজিএফ কার্ডধারীদের জন্য চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতি কার্ডধারীকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও তারা তা না দিয়ে জনপ্রতি দুই থেকে তিন কেজি ওজনে কম দিচ্ছিল। ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল ওজনে কম দিয়ে পরিষদের সদস্যদের যোগসাজশে তা আত্মসাৎ করছে এই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মোহম্মদ আলী সিদ্দিকী পুলিশ নিয়ে সেখানে গিয়ে ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল পরিমাপ করে। পরিমাপে প্রত্যেক কার্ডধারীকে দুই থেকে তিন কেজি করে ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পেয়ে সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন ও চৌকিদার খান মোনায়েমকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) বেলায়েত হোসেন বলেন, এজাহারনামীয় আসামী ইউপি সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন ও চৌকিদার মোনায়েম খানকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকির ও তার পরিষদের সাধারণ সদস্যেদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ স্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আব্দুল্লাহ ফকির বলেন, আমার ইউনিয়নের গরীব দুস্থদের গত বুধবার সকাল থেকে চাল দেয়া শুরু হয়। দুপুরে বাগেরহাটে প্রশাসনের পূর্ব নির্ধারিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মনোয়ার হোসেন বাচ্চু নামে এক ইউপি সদস্যকে চাল বিতরণের দায়িত্ব বুঝে দেই। পরে সন্ধ্যায় ফিরে শুনি ভিজিএফ কার্ডধারীদের চাল ওজনে কম দেয়া হয়েছে। চাল ওজনে কম দিয়ে তা আত্মসাতের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তার দায়ভার আমার না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন