পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, বিশ্ব আজ স্বীকার করে নিচ্ছে যে অধিকৃত কাশ্মীর ও ভারতে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। ব্রিটেনের বিখ্যাত সাময়িকী ইকনোমিস্টের একটি প্রচ্ছদ ছবি দিয়ে টুইটারে তিনি বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফ্যাসিবাদী আদর্শই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের। মোদির ফ্যাসিবাদের কারণে কাশ্মীরের ৮০ লাখ ও ভারতের মুসলমানরা ভোগান্তিতে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ইমরান খান। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতেই বিপন্ন ভারতের গণতন্ত্র। ব্রিটিশ সাপ্তাহিক ইকোনমিস্ট তাদের সর্বশেষ সংখ্যার ম‚ল নিবন্ধ ‘অসহিষ্ণু ভারত’-এর মধ্যে এ মন্তব্য করেছে। ম্যাগাজিনটি বলেছে, মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনসিআর) মাধ্যমে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের অনুপ্রেরণাদায়ী ধারণাকে বিপন্ন করে তুলছে। ইকোনমিস্টের এ নিবন্ধের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বিজেপি। দলটির নেতা বিজয় চৌথাইওয়ালে ব্রিটিশ এ সাপ্তাহিককে ‘ঔদ্ধত্য, যাদের মানসিকতা ঔপনিবেশিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। বিজেপির পররাষ্ট্র নীতির দায়িত্বে থাকা চৌথাইওয়ালে টুইটারে বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম যে ১৯৪৭ সালেই ব্রিটিশরা চলে গেছে। কিন্তু ইকোনমিস্টের সম্পাদকরা এখনও ঔপনিবেশিক যুগে বসবাস করছেন। ৬০ কোটি ভারতীয় তাদের নির্দেশ না মেনে মোদিকে ভোট দেয়ার পর থেকেই তারা ক্ষিপ্ত।’ বৃহস্পতিবার এক টুইটে ইকোনমিস্ট তাদের প্রচ্ছদটি শেয়ার করে লিখেছে, ‘যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার দল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে বিপন্ন করছে। ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে বিভাজন উসকে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি’ শিরোনামের এ নিবন্ধে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি হিন্দু রাষ্ট্র বানাচ্ছেন বলে দেশটির ২০ কোটিরও বেশি মুসলমান আশঙ্কা করছে। গত শতকের ৮০-র দশক থেকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের আন্দোলন থেকে শুরু করে বিজেপির উত্থানের চিত্র তুলে ধরে এতে ‘মোদি ও তার দল ভারতে ধর্মীয় এবং জাতীয় পরিচয় নিয়ে বিভাজন সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টায় মত্ত’ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন