জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় চিনিকলের বর্জ্য তুলসীগঙ্গা নদীর পানি হঠাৎ করে কালচে রং ধারণ করেছে। সে সাথে বর্জ্যের পানির দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খাল ও নদী পাড়ের বাসিন্দারা। চিনিকলের বর্জ্য নদীতে এসে পৌঁছার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার জামালগঞ্জ পাঁচ মাথা থেকে শুরু করে আক্কেলপুর উপজেলার হলহলিয়া রেলসেতু পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার নদীপথের পানি কালচে রং ধারণ করেছে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ২০ দিন আগেও এই নদীর পানি ব্যবহার করতে পারতেন কিন্তু হঠাৎ করে জয়পুরহাট চিনিকলের বর্জ্য নদীতে ছাড়ায় পানি দূষিত হয়ে পরেছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, জয়পুরহাট চিনিকলে আখমাড়াই কার্যক্রম চলছে। চিনিকলের বর্জ্যে তুলসীগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়েছে। নদীর পানির প্রচÐ দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকায় বসবাস করা কষ্ট হয়ে পড়ছে। সে সাথে তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই নদীর পাশের রয়েছে কৃষি জমি। এসব জমিতে পানি সেচ দেয়া হয় ওই নদী থেকেই। প্রায় ২০-২৫ দিন ধরে ওই এলাকার কৃষকেরা কোনো কাজেই নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। দূষিত পানিতে তুলসীগঙ্গা নদীর মাছ ও জলজ প্রাণী মরে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, কিছু দিন আগেও তুলসীগঙ্গা নদীর পানি ভালো ছিল। নদীপাড় এলাকার অনেক কৃষক এ পানি সেচকাজে ব্যবহার করতেন। জয়পুরহাট চিনিকলের পানিতে তুলসীগঙ্গা নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আর ওই পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
জয়পুরহাট চিনিকলের এমডি আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, চিনিকলের বর্জ্য পুকুরে ফেলা হয়। সেখান থেকে নালা দিয়ে পানি তুলসীগঙ্গা নদীতে চলে যায়। চিনিকলের পানিতে তুলসীগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়েছে, এটা সঠিক নয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিউল ইসলাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তাকে যৌথভাবে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন