শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

অন্যের জায়গায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি নির্মাণ প্রস্তুতি অবশেষে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলজিইডি ও পৌরসভা

প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে

বগুড়ায় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অন্যের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সরকারি খরচে স্থানীয় সরকার মšণালয়ের অধীনে বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, বগুড়া জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বগুড়া পৌরসভার মেয়রের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোসফেকুর রহমানের পক্ষে পিতা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মৌজার দাগ নং ৬৪৭৮-এ ফুলবাড়ি মৌজার মৃত কামাল উদ্দীনের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দীনকে সরকারি ব্যয়ে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। এজন্য এলজিইডি বগুড়া সদর উপজেলা কর্তৃপক্ষ যে জমি নির্বাচন করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করেছেন তার ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক হলেন অভিযোগকারী ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমানের প্রবাসী ছেলে মো. মোসফেকুর রহমান। তিনি ৮.০৫.১৯৯৫ ইং তারিখে ৮১৩৩ নং কবলা দলিলমূলে উক্ত ১৭ শতক সম্পত্তির মালিক হন। এরপর তিনি স্থানীয় ভূমি (তৌশিল) অফিস থেকে নিজ নামে খারিজ করে নেন। যার খারিজি কেস নং-৭২৬৬(৯-১), তারিখ : ১১.০৪.২০১২ ইং, বর্তমান মাঠ খতিয়ানেও মালিক হিসেবে তার নাম লিপিবদ্ধ হয়েছে। মাঠ খতিয়ান নং ১৩৬৩১, ডিপি নং-৪১২৪। অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান আরো জানান, আমার ছেলে জমির মালিক মো. মোসফেকুর রহমান বিদেশে অবস্থান করায় এবং আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দীন গোপনে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমার ছেলের জমিকে নিজের বলে দাবি করে এলজিইডির বিভিন্ন দপ্তরে দাখিলের মাধ্যমে বাড়ি নির্মাণের সকল কার্যক্রম পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ ও প্রতারণামূলক। মুক্তিযোদ্ধা হেলালের দেয়া ভুয়া কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই না করেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে এলজিইডি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রকল্প উপস্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধা হেলালের বাড়ি নির্মাণের অনুমতি পাস করে নেন। এব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর মোহাম্মদ রেজা জানান, তারা এসংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উক্ত বিবদমান জায়গার মালিক হিসেবে অভিযোগকারীর ছেলেকে আসল মালিক হিসেবে শনাক্ত করেন। সেই সাথে ওই জায়গায় এলজিইডির অর্থায়নে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়াকে অবহিত করা হয়েছে। এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বগুড়া সদর উপজেলার প্রকৌশলী অমৃত লাল মোহান্ত জানান, অভিযোগকারী ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমানের অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে দেখা গেছে তার অভিযোগ সত্য। জমির মালিকানার সপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা হেলাল যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছেন তা ছিল ভুয়া। প্রথমে বুঝতে না পেরে আমরা নির্মাণ কাজ শুরু করেছিলাম, পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অন্যের জায়গায় মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি নির্মাণ করে দেয়া কখনই সম্ভব নয় বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন